বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
ধর্ষণের জন্য ধরাশায়ী মহিলার উপর ওয়াজিব যেকোনো ভাবে ধর্ষকের হাত থেকে নিজ সম্ভ্রমকে রক্ষা করা।কেননা ধর্ষককে সুযোগ দেয়া হারাম।এবং ধর্ষকের হাত থেকে নিজেকে বাছানোর চেষ্টা না করাই এক প্রকার সুযোগ দেয়া।যদি হত্যা করা ব্যতীত ধর্ষণ থেকে বাচা অদ্য সম্ভব না হয়,তাহলে শেষ পর্যন্ত হত্যা করেই বাচবে।
এক্ষেত্রে মহিলার উপর ক্বেসাস,দিয়ত,তথা কোনো প্রকার শরয়ী শাস্তি-জরিমানা আসবে না।
কেননা বর্ণিত রয়েছে,
হযরত উমর রাযি এর যুগে একব্যক্তি হুজাইল গোত্রের কাউকে নিজঘরে মেহমান হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলো।ঐ মেহমান উক্ত ঘরের এক মহিলাকে ধর্ষণ করতে চাইলে ঐ মহিলা তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করে ফেলে।যখন দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর রাযি এর কাছে এ বিচার আসল,তখন তিনি বললেনঃ
এই হত্যার কোনো প্রকার জরিমানা কখনো আদায় করা হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ইজ্জত-আভ্রুর হেফাজতের জন্য মারা যাবে সে শহিদ।(সুতরাং নিজকে হেফাজতের জন্য সে কাউকে মারতে ও পারবে)(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৮/১০৯)