আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
300 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১।আমার বয়স ১৭ কিন্তু আমি পাইলস রোগে আক্রান্ত।
এমতাবস্থায় ডাক্তার আমাকে পায়ুপথ দেখাতে বলে এবং ডাক্তার পুরুষ। ভালো মহিলা ডাক্তার নেই। এতে আমি কিভাবে কি করব? পর্দা ভেঙ্গে যাবে কি? আর এমন হতে পারে যে অপারেশন করা লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিভাবে পর্দা ঠিক রাখব

২। তাহাজ্জুদের নামায এর ওয়াক্ত শেষ হয় ধরে নিলাম ৫:০৯  এ আমি নামায পড়তে দেরি করে উঠেছি কিন্তু দেখলাম হাতে সময় আছে ১৫ মিনিটের মত, তাই নামায শুরু করে দিলাম শেষ মূহুর্তে এসে দেখলাম আমার তাহাজ্জুদ আর বেতর নামায শেষ করতে সময় লেগেছে ৫:১৫ মিনিট। আমি বুঝতে পারিনি যে সময় এতোটা পেরিয়ে গেছে।  এখন কি এই নামায আমার কবুল হবে? আমি যে ওয়াক্তের বেশি সময় ধরে নামায পড়ছি তাই।  তবে ফযরের ওয়াক্তের আগেই শেষ করেছি। এ ক্ষেত্রে বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা করার ক্ষেত্রে চলমান পরিস্থিতিতে  কর্তৃপক্ষের উপর ওয়াজিব, পুরুষকে পুরুষ রোগী ও মহিলাকে মহিলা রোগী দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া।তারপরও যদি কর্তৃপক্ষ না দেয় তাহলে এমতাবস্থা করণীয় কি?তা বুঝতে হলে ইবনে আবেদীন শামী রাহ, এর নিম্নোক্ত আলোচনা অতিলক্ষণীয়.................
إذا كان المرض في سائر بدنها غير الفرج يجوز النظر إليه عند الدواء، لأنه موضع ضرورة، وإن كان في موضع الفرج، فينبغي أن يعلم امرأة تداويها فإن لم توجد وخافوا عليها أن تهلك أو يصيبها وجع لا تحتمله يستروا منها كل شيء إلا موضع العلة ثم يداويها الرجل ويغض بصره ما استطاع إلا عن موضع الجرح اهـ فتأمل والظاهر أن " ينبغي " هنا للوجوب
যদি কোনো মহিলার স্ত্রী লিঙ্গ ব্যতীত সমস্ত শরীরে রোগ হয়ে যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের জন্য উক্ত মহিলার সমস্ত শরীরে দৃষ্টি দেয়া জায়েয আছে।কেননা তখন চিকিৎসার স্বার্থে দেখাটা অতি প্রয়োজনীয় হয়ে যায়।আর যদি রোগ স্ত্রী লিঙ্গে(লজ্জাস্থানে) থাকে,তখন ওয়াজিব হয়ে যায়, কোনো মহিলাকে ডাক্তারি শিক্ষা দেওয়া, যে মহিলা পরবর্তিতে উক্ত মহিলার চিকিৎসা করবে।কিন্তু যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায় বা দেরী হলে উক্ত মহিলার রোগ বেড়ে যাবে বা মহিলা মারা যাবে,তখন রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থান ব্যতীত উক্ত মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া হবে,অতঃপর  পুরুষ ডাক্তার উক্ত মহিলার রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থানের চিকিৎসা করবে।তবে চিকিৎসা করার সময় রোগাক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে নিজ চক্ষুকে হেফাজত করবে।(রদ্দুল মুহতার;৬/৩৭০--৩৭১)বিস্তারিত জানতে............ https://www.ifatwa.info/3716

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনাদের এলাকায় কোনো মহিলা ডাক্তার না থাকে, তাহলে আপনি পুরুষ ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা নিতে পারবেন।প্রয়োজনে অপারেশনও করাতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...