আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।হুজুর কস্টকরে সব প্রশ্নর উত্তর দিয়েন। হুজুর কিছু কথা,শুনার পর থেকে মনে হচ্ছে আমি ঈমান হারা হয়ে গেছি নাকি।যেমন হুজুর আমি আমার স্বামীকে খুব ভালবাসী।মানে আমার মনে হয় আমি মরে গেলে ওনি বিয়ে করলে আমি সহ্য করতে পারব না।আসলে হুজুর ভালবাসি তহ।আবার ভাবি একাধিক কেন বিয়ে করতে হয়? আগের বউয়ের জন্য খারাপ লাগে না? সবাই আগের বউকে ভুলে যায়,এত সুখের সংংসার সব ভুলে যায়।স্বামীকেও বলেছিলাম আমি মরে গেলে বিয়ে করিও না।আবার বলতাম ২-৩ টা বিয়ে কেন করে? আবার বলতাম করলেও সমানভাবে চালাই কয়জন?হুজুর আসলে  ইসলামের নিয়মকে আমি অস্বীকার করতাম না।আবার বলতাম হয়ত এটার ভাল  আল্লাহ জানে।কোনদিন মন থেকে ঘৃনা করেছি কিনা  মনে পড়ে না।আসলে স্বামীকে ভালবাসী তাই বলতাম।না বুঝে আবেগে বলতাম। এখন যখন বুঝেছি মন থেকে সহ চলে গেছে ঐসব কথা।

আবার একবার আম্মু  বলতেছিল হিন্দু ঐগুলো  এমনিতে সিজদাহ করে ছিঃছিঃ।তহ আমি বলেছি ওরা জানে না তাই আর কি ইসলাম সম্পর্কে।আমরা যেমন আপনারা ইসলামের শিক্ষা  দিছেন তাই ইসলাম পালন করি।ওরা ওদের মা বাবা যা শিক্ষা  দিছে সেটা পালন করে।আসলে হুজুর ওদের ধর্মকে আমি বিশ্বাস করি না।

আবার স্বামী দাড়ি বেশি লম্বা করে রেখেছে।আমি এখনও আমার বাপের বাড়ি থাকি।তহ স্বামীকে বলেছি আমাকে নামাই নিয়ে যাওয়ার পর লম্বা করিও।এখন হালকা বেটে করে ফেল।একদম না রাখতে বলি নি হুজুর।হালকা বেটে করতে বলেছিলাম।আমি বলতেছি সবাই এখন বুরা হয়ে গেছ বলবে।মনে আর কি ছিল আমার জানি না।অনেক কথাকাটা কাটিও করেছি।তহ মনে হয় ওনি বলেছে এতটুকুর মধ্যে ভাল লাগলে আসিও।তালাকের উদ্দেশ্যে নই।আমি জিগ্যেস করেছি ওনি বলেছিল তালাকের উউদ্দেশ্যে কোনদিন কিছু বলে নি।

আর হুজুর মুরাদ যখন বলেছিল ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম থাকবে না। তখন মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল আর আমি নাস্তিক বলেছিলাম।ভাই তখন বলল না জেনে নাস্তিক বললে নিজে নাস্তিক হয়ে যায়।আমি সাথে সাথে তওবা করি।আমি হুজুর জানতাম না না জেনে বলে ফেলেছিলাম নাস্তিক।

আরেকটা প্রশ্ন হুজুর আমি আগে জানতাম না যে ইসলামে নিয়ম আছে যে কোন রাজা দাসীর সাথে সহবাস করতে পারে।যখন সুলতান সুলেমান সিরিয়াল টা দেখতাম তখন বলতাম এগুলা গুণাহ হবে না? বিয়ে ছাড়া কারো।সাথে সহবাস ইসলামে  দেই নাই।পরে ওয়াজ এ শুনি এটা ইসলামে আছে।সাথে সাথে তওবা করি।

আরেকটা প্রশ্ন আমি আজ জানতে পারি বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করলে কাফের হয়ে যাবে।হুজুর আমি সাইন্সে পড়েছিলাম তাই বিবর্তনবাদ নিয়ে অনেক পড়েছি।জানি না হুজুর মনে কি আসত।তবে মানুষ যে জন্গলে থাকত,পাথর থেকে আগুন জ্বালাত, যা পাইত খাইত এসব বিশ্বাস করতাম আগে মানে বইয়ে পড়েছিলাম তহ।হুজুর কিছু মনে করিয়েন না স্বামীকে সহ বলেছিলাম কিভাবে সহবাসের কথা মাথায় এল ওদের? স্বামী বলল আল্লাহ মনে এসব হয়ত জাগ্রত করে  দিয়েছিল।হুজুর এসব কথা,দ্বারা আমাদের ঈমান চলে যাবে?হুজুর আদম ও হাওয়া যে প্রথম মানুষ সেটা বিশ্বাস করতাম।হুজুর না জেনে ভুল ভাবতাম।এসবের কারণে কি ইমান চলে যাবে?না জেনে করেছি আমরা কি কাফের হয়ে যাব?

১।হুজুর প্রশ্ন হল উল্লেখিত ঘটনাগুলো  দ্বারা কি আমি ঈমান হারা হয়ে যাব? আর শুনেছি ঈমান নস্ট হয়ে গেলে তালাক হয়ে যায়।হুজুর আমি মনে মনে তওবা করি আর করব না।আমার ঈমান কি নস্ট হয়ে গেছে?আবার বিয়ে করতে হবে?অনেক ওয়াসওয়াসা আসে  মনে ঈমান চলে গেল কিনা ভেবে ভয় হয়।এখন করনীয় কি আমার?সবসময় ওয়াসওয়াসা আসে আমার ঈমান নস্ট হয়ে গেল কিনা ভেবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَكَذَٰلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ
আমি এরূপ ভাবেই ইব্রাহীমকে নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের অত্যাশ্চর্য বস্তুসমূহ দেখাতে লাগলাম-যাতে সে দৃঢ় বিশ্বাসী হয়ে যায়।

فَلَمَّا جَنَّ عَلَيْهِ اللَّيْلُ رَأَىٰ كَوْكَبًا ۖ قَالَ هَـٰذَا رَبِّي ۖ فَلَمَّا أَفَلَ قَالَ لَا أُحِبُّ الْآفِلِينَ
অনন্তর যখন রজনীর অন্ধকার তার উপর সমাচ্ছন্ন হল, তখন সে একটি তারকা দেখতে পেল, বললঃ ইহা আমার প্রতিপালক। অতঃপর যখন তা অস্তমিত হল তখন বললঃ আমি অস্তগামীদেরকে ভালবাসি না।

فَلَمَّا رَأَى الْقَمَرَ بَازِغًا قَالَ هَـٰذَا رَبِّي ۖ فَلَمَّا أَفَلَ قَالَ لَئِن لَّمْ يَهْدِنِي رَبِّي لَأَكُونَنَّ مِنَ الْقَوْمِ الضَّالِّينَ
অতঃপর যখন চন্দ্রকে ঝলমল করতে দেখল, বললঃ এটি আমার প্রতিপালক। অনন্তর যখন তা অদৃশ্য হয়ে গেল, তখন বলল যদি আমার প্রতিপালক আমাকে পথ-প্রদর্শন না করেন, তবে অবশ্যই আমি বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।

فَلَمَّا رَأَى الشَّمْسَ بَازِغَةً قَالَ هَـٰذَا رَبِّي هَـٰذَا أَكْبَرُ ۖ فَلَمَّا أَفَلَتْ قَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ
অতঃপর যখন সূর্যকে চকচক করতে দেখল, বললঃ এটি আমার পালনকর্তা, এটি বৃহত্তর। অতপর যখন তা ডুবে গেল, তখন বলল হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা যেসব বিষয়কে শরীক কর, আমি ওসব থেকে মুক্ত।

إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
আমি এক মুখী হয়ে স্বীয় আনন ঐ সত্তার দিকে করেছি, যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরেক নই। (সূরা আন'আম-৭৫-৭৯)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অাপনার বিবরণ অনুযায়ী এসমস্ত মনোভাব শিরক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...