আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
756 views
in সালাত(Prayer) by
সূরা ত্বীন নামাযে পড়লে শেষ আয়াতের পর আরো কিছু পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ- 

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

٨٦٠ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «مَنْ قَرَأَ مِنْكُمْ بِـ {وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ} [التين: ١] ، فَانْتَهَى إِلَى: {أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ} [التين: ٨] فَلْيَقُلْ: بَلَى، وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ، وَمَنْ قَرَأَ: {لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ} [القيامة: ١] فَانْتَهَى إِلَى: {أَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَى} [القيامة: ٤٠] ، فَلْيَقُلْ: بَلَى، وَمَنْ قَرَأَ (وَالْمُرْسَلَاتِ) ، فَبَلَغَ: {فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُؤْمِنُونَ} [الأعراف: ١٨٥] فَلْيَقُلْ: " آمَنَّا بِاللَّهِ» "، رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ إِلَى قَوْلِهِ: «وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ» ".

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যদি কেউ সূরা ত্বিন পড়ে এবং সে {أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ} [ত্বিন: ৮]পর্যন্ত তেলাওয়াত করে পৌছে,তাহলে শেষে যেন সে  بَلَى، وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِين বলে নেয়।

এবং যদি কেউ সূরা ক্বিয়ামাহ পড়ে শেষ আয়াত {أَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَى} [ক্বিয়ামাহ-৪০ ٠]

পর্যন্ত পৌছে, তাহলে সে যেন  بَلَى، বলে নেয়।

এবং যদি কেউ (وَالْمُرْسَلَاتِ) ،পড়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত  {فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُؤْمِنُونَ} পর্যন্ত পৌছে তাহলে যেন  সে " آمَنَّا بِاللَّهِ» বলে নেয়।(আবু-দাউদ) ইমাম তিরমিযি রাহ বলেন, সে যেন পূর্বের বাক্যর সাথে وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ» ও সংযুক্ত করে নেয়।

{মিরকাত, হাদীস নং;৮৬০}

উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় হাফিয বদরুদ্দীন আইনী রাহ বলেন,

ثم إن المصلي إذا قرأ هذه السور هل يقول هذه الألفاظ في الصلاة؟ فقال جماعة من أصحابنا: يقولها خارج الصلاة، ولا يقولها في الصلاة، فإن قالها لا تفسد صلاته سواء كان عامدا أو ناسيا. وقد قيل: يقولها مطلقا لإطلاق الأمر، ثم لا خلاف أن هذا الأمر أمر استحباب لا وجوب، فافهم.

ভাবার্থ

মুসাল্লি যখন হাদীসে বর্ণিত উক্ত সূরা সমূহ পড়বে,তখন কি সে হাদীসে বর্ণিত জবাব সমূহ বলবে?

এ সম্পর্কে আমাদের হানাফি উলামে কেরামদের একাংশের মতামত হল যে, ক্বারী সাহেব এ জবাব সমূহ নামাযের বাইরে বলবে।নামাযের মধ্যে বলবে না।

তবে কেউ বলে ফেললেও তার নামায ফাসিদ হবে না চায় ইচ্ছায় বলুক বা অনিচ্ছায় বলুক।(কেননা তা হাদীসে এসেছে)

এবং কেউ কেউ বলেনঃ

নামাযের বাইরে বা ভিতরে যেকোনো স্থানে বলা যাবে।যেহেতু হাদীসে কিছুর সাথেই জাবাব সমূহকে নির্দিষ্ট করা হয় নাই।

এ বিষয়ে কোনো মতবিরোধ নেই যে,হাদীস বর্ণিত নির্দেশনামা দ্বারা মুস্তাহাব বিধানই উদ্দেশ্য।ওয়াজিব নির্দেশ উদ্দেশ্য নয়।

{শরহে আবু দাউদ;লিল-আইনী৪/১০৩}

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
...