আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (67 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

আমার আগে করা ২ টি প্রশ্ন আবার দেখার অনুরোধ করছি। https://www.ifatwa.info/11505/ ও https://www.ifatwa.info/20255/ এর ১ নং প্রশ্নটি। 

  • প্রশ্ন দেখে থাকলে বুঝতেই পারছেন আমার পরিবারের অবস্থা। তালিমে নিয়ে যাওয়ার অবস্থা নেই কারণ তারা লেবাসধারী হুজুর ব্যক্তিকে বলতে গেলে সহ্য করতে পারেন না। নিকাব করার নিয়ত থাকলেও এর ফলে যে পরিস্থিতি উদ্ভূত হবে তা সামাল দেওয়ার মত অবস্থায় আমি নেই। আমার কোন দ্বীনি বন্ধু বান্ধব নেই বললেই চলে। জানি না নন প্রাকটিসিং পরিবারের বাস্তবতা বুঝতে পারছেন কিনা। বুঝে থাকলে এটাও ইনশাআল্লাহ্‌ বুঝতে পারছেন যে আমাকে তারা বলে দেখেছেন দ্বীনদার পাত্র খুঁজে দিতে পারবেন না, নিজেকে খুঁজে নিতে। এমতাবস্থায় আমার নির্ভরযোগ্য মাহরাম ছাড়া নিজেকে পাত্রের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। হোয়াটসএপে ঐ গ্রুপে এড হতে পারছি না কারণ আমার হোয়াটসএপ দিয়ে আব্বু আম্মু ভাইয়ার সাথে কথা বলেন ও তারা এসব দেখলে রাগ করতে পারেন। এছাড়া আমার ফিতনা হতে পারে। 

তো যেটা বলছিলাম। এখন আমার গার্ডিয়ান যেহেতু বলেছেন নিজে খুঁজে নিতে, তাই তার ব্যাপারে তারা আর খোঁজ করবেন না। নিজে পরিচিত হয়ে গার্ডিয়ানকে এসে বলতে হবে অমুককে পছন্দ, তখন তারা বিয়ে এরেঞ্জ করে দিবেন। জানি যে আল্লাহ্‌ লোহিত সাগরকে ভাগ করে দিতে পেরেছেন, আমার জন্য কোন না কোন উপায় বাতলে দেবেনই। কিন্তু আমাকে তো লাঠি ফেলতে হবে। সেই লাঠি ফেলাটা কীরকম হতে পারে আমার জানা নেই। কি উপায় হতে পারে? 

  • আমাদের দেশের বাড়িতে যেতে হলে লঞ্চে যাওয়া লাগে। খবরে দেখে থাকবেন প্রায়ই লঞ্চডুবি হয়। এরকম অবস্থা থেকে বাঁচতে সাঁতার শেখা খুবই জরুরি। এ অবস্থায় সবাই নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত থাকে, অন্যকে নিয়ে কারো হুশ থাকে না। আগের ফতোয়ায় বলেছিলেন যে মেয়েদের সাঁতার শেখা জরুরত নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে কি করবে মেয়েরা, যেখানে ডুবে যাওয়ার আশংকা আছে? সাঁতারটা শুধু মেয়েদের পরিমণ্ডলেই শিখব যেখানে সবাই মেয়ে থাকবে। আমি তো আমার প্রয়োজনে শিখছি। এখানেও কি হারাম হবে? 

প্লিজ আমাদের সবার জন্য প্রচুর দুয়া করবেন। দয়া করে উপেক্ষা করবেন না। আল্লাহ্‌ আপনার সব দুয়া কবুল করুন। আমীন! এমন অবস্থায় কোন নেককার ব্যক্তির দুয়া খুব খুব খুব প্রয়োজন। ফেরেশতারা আপনার দ্বীনের পথে দৃঢ়পদ থাকার দুয়া করুন ও আল্লাহ্ তা কবুল করুন।  

1 Answer

0 votes
by (598,860 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নিজে নিজে পাত্র খুজতে পারবেন।প্রয়োজনে পাত্রর সাথে কথাও বলতে পারবেন।এ বিষয়ে আমাদের আই ও এমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
(২)
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়া হয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে একটি মূলনীতি হল-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার। বর্ণিত পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি মেয়েদের পরিমন্ডলে এমন পোষাক পড়ে সাতর শিখতে পারবেন, যে পোষাক শরীরের উচু নীচু ভাজকে সম্পূর্ণ ঢেকে রাখতে সক্ষম হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (598,860 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...