আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
179 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

বাচ্চাদের জন্য কিছু জায়নামাজ পাওয়া যায় যেগুলোতে তাদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য মসজিদ,কাবাঘর, সূর্য, চাঁদ, আরও অনেক ছবি থাকে। এমন জায়নামাজ কি তাদের উৎসাহিত করতে দেওয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/358 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে
রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার রেশম বা পশমের এমন কাপড়ে যাতে নকশা এবং কারুকার্য বিদ্যমান ছিলো,তাতে  নামায পড়তেছিলেন। হঠাৎ নামাযের মধ্যেই সেই কারুকার্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হল।যখন রাসূল সাঃ নামায থেকে সালাম ফিরালেন।তখন বললেন,উক্ত কারুকার্যময় কাপড়কে নিয়ে তোমরা আবু-জাহমের নিকট যাও এবং তাকে দিয়ে আসো। সাথে সাথে আবু-জাহমের কারুকার্যহীন চাদর-কে আমার নিকট নিয়ে আসো।কেননা উক্ত কারুকার্য আমাকে কিছু সময়ের জন্য নামায থেকে গাফিল করে রেখেছিলো।

অন্য বর্ণনায় এসেছে,রাসূল সাঃ বলেন,আমি নামাযে থাকা অবস্থায়-ই উক্ত কারুকার্যের দিকে আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। আমার ভয় হল যে,না জানি কি আমি ফিতনায় পড়ে যাই। (সহীহ বুখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম- ৫৫৬)

কা'বা ঘরের ফটো অঙ্কিত জায়নামাজ অপছন্দনীয়(মাকরুহ)। তাতে নামায পড়াও অপছন্দনীয়(মাকরুহ) । কারণ হল,তাতে মনযোগ বিনষ্ট হতে পারে বা হবেই। তবে ক'বা ঘরকে পদপৃষ্ঠ করার অাশংকা থেকে উক্ত জায়নামাজ কে ব্যবহার করা মাকরুহ বলাটাও আপাতত যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না।কেননা সাধারণত কেউ ইচ্ছা করে কা'বা ঘরের ফটোকে পৃষ্ঠ করবেনা।তারপরও পদপৃষ্ঠ হওয়ার একটা আশংকা থেকেই যায়।সর্বাবস্থায় মনযোগে ব্যাঘাত ঘটবেই। সুতরাং কা'বা ঘরের ফটো সংবলিত জায়নামাযে নামায পড়া কখনো উচিৎ হবে না।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এমন জায়নামায বাচ্ছাদেরকে না দেয়াই উত্তম।কেননা এতেকরে চন্দ সূর্যকে সিজদা করার সন্দেহ চলে আসতে পারে।এবং কা'বা ঘরকে পদপৃষ্ঠ করার সম্ভাবনা থেকে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 124 views
...