আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
744 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
প্রথমেই আমার কিছু সমস্যার কথা বলে নিচ্ছি।এবং এর প্রতিকার জানতে চাই।১/বদনজরের সমস্যা
২/দিন-দিন শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে,শুকায় যাচ্ছি,চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে, উজ্জ্বলতা মলিন হয়ে যাচ্ছে।
৩/ ইবাদাতে আলসি, অমনোযোগীতা,কোনো ভাবেই ইবাদাতে দৃঢ় থাকতে পারিনাহ।
৪/ওয়াসওয়াসার সমস্যা প্রচুর।যেমন, সালাতে সিজদাহ কয়টা দিয়েছি খেয়াল করতে পারি নাহ,ওযুতে কুলি কয়বার করেছি সম্ভবত এতোবার মনে করতে পারছি না।
৫/কিচ্ছু ভালো লাগেনা, অকারণেই ডিপ্রেসড থাকি, মন খারাপ হয়ে যায়, যা পড়ি ভুলে যাই মনে থাকে নাহ, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারিনা,রাত্রে ঘুম আসেনা,ঘুমাইতে ঘুমাইতেই ২টা বাজে যদিও বিছানায় যাইনা কেনো ১০টায়, কোনো কারণ ছাড়া,আজে-বাজে টেনশন,যা নিয়ে না ভাব্লেও হয় তা নিয়েও টেনশন,স্বপ্নেও উলটা পালটা দেখি। কিন্তু যা দেখি সজাগ হয়ে মনে করতে পারি নাহ বিন্দুমাত্রও, লাস্ট স্বপ্ন ছিলো দুধ দিয়ে পাউরুটি ভিজিয়ে কেউ আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে, আর এরপর যাই দেখেছি এখন পর্যন্ত কিচ্ছুই মনে করতে পারিনা।কিন্তু ওই খাওয়ার ঘটনাটা কিছুতেই ভুলিও নাহ।
৬/খিটখিটে হয়ে যাচ্ছি,অল্পতেই রেগে যাচ্ছি,এতো রাগ উঠে অকারণেই যে খুন পর্যন্ত করতে মন চায়,মারামারি-গালিগালাজ করি কারণ ছাড়াই। নিজেকে কন্ট্রোলই করতে পারি নাহ, পরবর্তীতে আফসোস করি আর কান্নাকাটি করি যে কেনো এমন করি
৭/ বুঝতে পারতেছি যে আমার সেল্ফ রুকাইয়া করা প্রয়োজন কিন্তু তাও করতে পারি নাহ কেনো?চাইলেও পারি নাহ, কিসে যেনো আটকায় রাখে, এমনকি সালাতের পরে যিকরও নাহ।
৮/পিরিয়ডের পরেই এসব সমস্যা হয় প্রচুর। বেশি ক্ষতি হয় ইবাদাতের ক্ষেত্রে।শারিরীক -মানসিক ক্ষতি আস্তে আস্তে পুষিয়ে নিলেও ইবাদতের ক্ষতি থেকে কিভাবে বাঁচবো!??
৯/ আব্বুকে একদমই সহ্য করতে পারি না, অথচ উনিই আমাকে সবথেকে বেশি ভালোবাসেন,আমার জন্য সব কিছু করেন,আর আমিও উনাকে অনেক ভালোবাসি, উনার বাধ্য থাকতে চাই,কিন্তু কেন যেনো মনে হয় উনি আমার শত্রু,উনার সাথে সবসময়  খারাপ ব্যাবহার করি।
১০/ যখনই হিফজ করতে বসি কিংবা রাত্রে তিনটার দিকে বা সন্ধ্যার দিকে কুকুর এসে আমার ঘরের কর্ণারে প্রতিদিনই ঘাউ ঘাউ করে, কিন্তু আর কোথাও না করে আমার ঘরের কর্নারেই এমন করে কেনো? আর এমনটা প্রায় ঘন্টা খানেক কিংবা তার বেশিও করে।
Family problems
১/আব্বু বাড়িতে(জবের জন্য অন্য জায়গায় থাকেন) আসলেই অসুস্থ হয়ে যায়, আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে কারণ ছাড়াই। এমনি সময় ভালো থাকলেও বাড়িতে আসলেই সমস্যা করে।কেনো এমন করে?
২/আব্দুর রহমানেরও(আমার ছোট ভাই) বদনজরের সমস্যা আছে।
 We are suffering from paranormal problems, I'm damn sure☠️
এরপর আসা যাক দ্বিতীয় প্রসঙ্গে,
আমি গতকাল ফজরের সালাতের পর যখন আবার ঘুমাই তখন স্বপ্ন দেখি, আমার ২টা জমজ বাচ্চা হয়েছে,যাদের একজনকে আমি লালন পালন করছি আর আরেকজনকে আমার আম্মু, আর আমার চাচাতো বোনেরও একই সাথে একটি বাচ্চা হয়েছে,দেখতে অনেকটা চাইনিিজজ বাচ্চাাদের মতো, (আমরা ২জনই অবিবাহিত), আর ওর সাাথে আমার  relation একেবারে আপন বোনের মতো। কিন্তু দুুুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে আমরা আমাদের সন্তানের বাবাকে খুঁজে পাচ্ছি না, আর স্বপ্নেও আমরা অবিবাহিতই, কিন্তু এই বাচ্চা তাহলে আসলো কোথা থেকে!আমার জমজ বাচ্চাদের মধ্যে একজন খুব দ্রুত বাড়ছিলো আর আমি জানতামও যে সে খুব তাড়াতাড়ি মারা যাবে, আর আমার কোলে যেই বাচ্চা ছিলো সে একেবারে নবজাতকই, আমি আমার বাচ্চাদের ব্রেস্টফিডিং ও করিয়েছি।এসবের মানে কি? এরপর কিছু গোলাপ ফুল ছিড়ে ওদের জন্য কিছু একটা বানাচ্ছিলাম এরমধ্যে ঘুম ভেঙে যায়।
closed

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোনো অবিবাহিত পুরুষ-মহিলা স্বপ্নে সন্তান দেখার অর্থ হল, তার সকল প্রকার চিন্তা দূর হবে,টেনশন দূর হবে। এবং সে নিয়ামত প্রাপ্ত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
জ্বী ইনশাআল্লাহ৷ শাইখ। একটু যদি প্রশ্নের উত্তরটা জানতে পারতাম, কিছুটা হাল্কা হতাম। অপেক্ষায় আছি উত্তরের।
by (589,140 points)
কোন উত্তর?
উত্তর তো দেয়াই হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...