ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
ولا يسقط الإنكار بالقلب عن المكلف باليد أو اللسان أصلا، إذ هو كراهة المعصية، وهو واجب على كل مكلف، فإن عجز المكلف عن الإنكار باللسان وقدر على التعبيس والهجر والنظر شزرا لزمه، ولا يكفيه إنكار القلب، فإن خاف على نفسه أنكر بالقلب واجتنب صاحب المعصية. قال ابن مسعود رضي الله عنه: جاهدوا الكفار بأيديكم فإن لم تستطيعوا إلا أن تكفهروا في وجوههم فافعلوا
তরজমাঃ
হাত বা জবান দ্বারা মন্দ কাজকে প্রতিহত করলে অন্তরের গৃনা রহিত হবে না,বরং অন্তর দিয়ে অবশ্যই গৃনা করতে হবে।কেননা তাহা তো গুনাহ হওয়ার ধরুণ গৃন্য।এবং গুনাহকে গৃনাহ করা প্রত্যেক জ্ঞানবান প্রাপ্তবয়স্কের উপর ওয়াজিব।
কেউ যদি জবান দ্বারা মন্দ কাজকে প্রতিহত করতে অক্ষম হয়,কিন্তু মনকে চিন্তিত ও ব্যথিত রাখতে এবং উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করতে ও তার দিকে হেয়প্রতিপন্নমূলক দৃষ্টি স্থাপন করতে সক্ষম হয়,তাহলে তার জন্য তাই করা অত্যাবশ্যকীয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মনের অপছন্দ যথেষ্ট হবে না।অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে যদি কেউ প্রাণনাশের আশঙ্কা করে তাহলে এমতাবস্থায় অন্তর দিয়ে গৃনা করা তার জন্য ওয়াজিব।শুধু তাই নয় বরং সাথে সাথে উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করাও তার জন্য ওয়াজিব।
ইবনে মাসউদ রাঃ বলেনঃ তোমরা কাফিরদের সাথে হাত দ্বারা যুদ্ধ করো।যদি তোমাদের চেহারায় গৃনা ও ব্যথিত হওয়ার চাপ প্রকাশ ব্যতীত আর কিছু না পারো তাহলে তোমরা তাই করো।
(৬/২৫১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1982
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি উক্ত অনুষ্টানে চাদা না দেওয়ার সকল রকম চেষ্টা করবেন।যদি সকল রকম চেষ্টা করেও চাদা দেওয়া থেকে অভ্যাহতি না নেয়া যায়, তাহলে অপারগ অবস্থায় গিফটে যে টাকা খরচ হবে, সেই পরিমাণ টাকা আপনি দিবেন।যদি এটাও সম্ভব না হয়, তাহলে আপনি মজবুর হিসেবে সম্পূর্ণ চাদার টাকাও দিতে পারবেন।
(২)
গিফট প্রদানের সময় যদি শরীয়ত বারোধী কোনো কাজ না হয়, ফ্রিমিক্সিং না হয়, তাহলে তখন উপস্থিত হতে পারবেন।নতুবা গিফট প্রদাণের মুহূর্তেও আপনি উপস্থিত হতে পারবেন না।