বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নামাজের অন্যতম একটি শর্ত হলো কাপড় পাক হওয়া।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾
আর আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার কাপড়ে যে নাপাকি লেগেছিলো,সেটা নাজাসাতে গলিজা নাকি নাজাসাতে খফিফা ছিলো?
নাজাসাতে গলিজাহ তথা
পায়খানা,পেশাব,রক্ত,বীর্য,মযি,ওদি,মদ,গবর ইত্যাদি হলে এক দিরহাবের কম আপনার কাপড়ে লেগে থাকলে আপনার উক্ত নামাজ হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা
তবে যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি আপনার কাপড়ে লাগে,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করে নিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
عن رسول اللہ صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
বিস্তারিত জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
আর যদি সেই নাপাকি নাজাসাতে খফিফাহ হয় তথা হালাল পশুর পেশাব, হারাম পাখির বিষ্ঠা ইত্যাদি হয়,তাহলে কাপড়ের এক চতুর্থাংশের কম হলে মাফ।
উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
এর চেয়ে বেশি হলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
কাপড়ের এক চতুর্থাংশ বলতে জামার হাতা ইত্যাদি আলাদা গননা করা হবে।
(০২)
আপনি আহকামে জিন্দেগী পড়তে পারেন।
আল ফিকহুল মুয়াসসার কিতাব পড়তে পারেন।