জবাবঃ-
বৃটিশ আইন এবং দেশীয় বিভিন্ন সংস্কারমূলক আইন দ্বারা বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পরিচালিত।এর মধ্যে সমস্ত ধারা ইসলাম বিরোধী নয়, যদিও বিচার সংক্রান্ত সমস্ত আইন-কানুন কোরআন-সুন্নাহর আলোকে রচিত হয়নি।প্রশ্ন জাগে এমন কোর্টে উকালতির পেশা কি বৈধ? এ সম্পর্কে জানুন-
598
বিচারকার্য কেমন হওয়া চাই??
ইসলামী র্রাষ্টে না কোনো কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী পাশ করা যাবে,না বাকি রাখা যাবে, এবং না বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া যাবে, বরং সমস্ত মুসলমানের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভাবে ফরয যে, উক্ত আইনকে বাতিল করা ও বাতিল করার জন্য আন্দোলন করা।
এ সম্পর্কে দু-একটি আয়াত লক্ষণীয়
যেমনঃ-
ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥ
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।
৫সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৪.................বিস্তারিত জানুন-
623
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সূরা নিসার যে ৬০নং আয়াতের উদ্বৃতি দিয়েছেন,সেখানে মূলত অপশন থাকাবস্থায় তাগুতের নিকট বিচার চাইতে নিষেধ করা হয়েছে।কিন্তু এখন আমরা যে পরিস্থিতিতে রয়েছি,সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রচলিত আইন ব্যতীত অন্য কোথাও বিচার চাওয়ার আমাদের জায়গা নেই।তাই অপারগ অবস্থায় যতদিন না এদেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্টিত হচ্ছে,ততদিন এই প্রচলিত আইনেই আমাদেরকে বিচার চাইতে হবে, কেননা এছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা আমাদের সামনে নাই।হ্যা যারা বিচারক হবেন,তাদের জন্য কুরআন-হাদীস বিরোধী বিচার করা ও উকিলদের জন্য কুরআন হাদীস বিরোধী শাস্তি চাওয়া কখনো জায়েয হবে না।