আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
956 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুৃম ওরাহমাতুল্লা 

১।মাঝে মাঝে আমি স্বামীকে বলতাম এইরকম হলে আমার বাসায় মেনে নিবে ন।আবার বলতাম মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত বিয়ে।তহ ওনি বলত কর গা মা বাবার পছন্দমত,এত কস্ট হলে কর গা মা বাবার পছন্দমত। ঠিক কোন কথাটা বলত মনে নেই।এইরকম কিছু বলত ।আসলে তালাকের নিয়ত নিয়ে বলত কিনা জানি না।মনে হয় রাগ ও অভিমান করে বলত।মানে আমার যদি ওনাকে ভাল না লাগে তাহলে করতে বলত আর কি।আমার ওপর দিত ভার।আসলে কথাগুলো ওনার মনেও নেই ভাল করে।কয়েকবার বলেছিল মনে হয় কথা গুলো।তাই ওনি কোন নিয়তে বলত আমি জানি না।এখানেও কি আমার ওপর তালাক পতিত হবে?

২।আবার মাঝে মাঝে ঝগড়া হলে বলত আমি অশিক্ষিত, বিচ্ছিরি আসিও না আমার বাসায়।মা বাবার পছন্দমত শিক্ষিত করিও/ কর গা।মানে ওনাকে অত্তটুকো তে ভালো না লাগলে ওটা বুঝাতো মনে হয়।এগুলো ভবিষ্যৎ সূচক শব্দ না?আমার মনে হচ্ছে অভিমান করে বলত।কথা দ্বারা বুঝায়,যাচ্ছে অভিমান।ওনার মনে নেই আসলে কি বলেছে।আমার ও একটু একটু মনে আছে যে।আমিও বলতাম  কিজন্য যে বিয়ে করলাম।ওইজন্য বলত মনে হয় অভিমান করে।আমার ও একটু একটু মনে আছে যে।কয়েকবার বলেছিল মত মনে হচ্ছে ।ওনার মনেও নাই।কিসের নিয়তে বলত জানিও না।হুজুর এই কথা,দ্বারাও কি তালাক হবে?

৩।মাঝে মাঝে আমি বলতাম চলে যাব।স্বামীও বলত "জোর করব না  থাকতে ইচ্ছে না থাকলে চলে যাও দরকার নাই এইরকম বউ একটা গেলে আরেকটা আসবে"।মানে আমার ইচ্ছে হলে চলে যেতে পারি সেটা বুঝায়ত,জোর করবে না।ওনি আমাকে কোনদিন নিজ থেকে চলে যেতে বলে নি হুজুর।কয়বার বলেছিল মনে নেই। এই ক্ষেত্রে কি তালাক হবে? আরেকটা হচ্ছে আমার চুল বেটে তহ স্বামি বলতেছে যতদিন চুল লম্বা হয় নি ততদিন আনব না নামিয়ে।মানে ওনার বাসায় এই কথা দ্বারাও কি তালাক হবে?

৪।হুজুর স্বামী আমার কাছ থেকে দূরে থাকে।যদি মনমালিন্য হলে বলত যে ফোন করিও না এইখানে/ ফোন করিও না আর এইখানে,  ব্লক  করে দিব বলে ব্লক করে দিত রাগের মাথায় আবার নিজে কল দিত।দূরে থাকে তহ হুজুর এস এম এসের মাধ্যমে মানুষের মনের অবস্তা বুঝা যায় না।কিন্তু স্বামি রাগের মাথায় ও তালাকের কথা বলে নি।শুধু রাগ উঠলে বেশি ব্লক করে দিত।মনে হয়,মুখ দিয়ে ওল্টা পাল্টা বের হবে তাই ব্লক করে দিত।অনেকবার করেছে এইরকম।কিছুক্ষণ পর রাগ কমলে আবার মেসেজ দিত।আবার মাঝে মাঝে রেগে গিয়ে বলত"তুই এক নাম্বার ফালতু মেয়ে কল রাখ,কল দিবি না এখানে আর"।আবার রাগ কমলে নিজে দিত।কিন্তুু  যদ্দুর মনে পড়ে কোনদিন তালাকের কথা বলে নি বা তুই আমার বউ নই এইরকম কথাও বলে নি কোনদিন বা সম্পর্ক শেষ এরকম ও বলত না।যদ্দুর মনে আছে এইরকম বলত না।ব্লক করে দিত।রাগ কমলে মাত্র ফোন করত।এতে কি তালাক হবে?

৫।স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাকের অধিকার দিয়ে দেয়।নিজের নফসের ওপর তালাক প্রদান ছাড়া অন্য কোন কথা বললে কি তালাক হবে?আমি যদি বলি চলে যাব,ছেড়ে দিবস্বামী যদি বলে ইচ্ছে না থাকলে চলে যাবা আর কি,ছেড়ে দিও, ভাল না লাগলে আমাকে চলে যাও,তারপর আমি আবার ঠিক আছে চলে যাব,চলে যাচ্ছি,ঠিক আছে ছেড়ে দিব,তুমার মত স্বামীর প্রয়োজন নেই।আমি রাগে আর অভিমানে বলতাম।এই কথাগুলো ফোনে বলত।হুজুর কাছে থাকলে তহ জাইতাম না।ফোনে বলতাম আর কি।ফোন কেটে দিতাম মানে এস এম এস দিয়ে কথা বলতাম তহ।এসএমএস আর দিতাম না।হয় অফ করে রাখতাম আবার মাঝে মাঝে ব্লক দিতাম।কিছুক্ষণ পর আবার কথা বলতাম,থাকতে পারতাম না কথা না বলে।স্বামী দূরে থাকে ব্যবসার কারণে ওনি ওনার বাসায়।আমি আমার বাপের বাড়ি । একটু পর আবার কথা বলতাম রাগ কমলে।স্ত্রী মানে আমি কিন্তু নিজের ওপর তালাক নেয় নি এমনিতে রাগের মাথায় বলত।এসব কথা বা খুলা তালাকের কথাও স্ত্রী জানত না। রাগের মাথায় স্ত্রীব এসব কথা দ্বারা কি তালাক হবে?আমি কোনদিন নিজের ওপর তালাক নেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে এগুলো বলতাম না।এটাও বলতাম মাঝে মাঝে ফোনে যে চলে গেলেও আমি তুমার বউ থাকব।তবে তুমি ইচ্ছে হলে আরেকটা করিও বিয়ে।কিন্তু আমি তুমার বউ থাকব।তুমার বউ হিসেবে থেকেই মরতে চাই।দূর থেকে না হয় ভালবাসব।ছেড়ে দিও না আমাকে এইসব বলতাম।।স্ত্রীর  কিন্তু তালাক দেওয়ার ইচ্ছে নাই।রেগে গিয়ে বলেছে।নিজের নফসের ওপর তালাকের ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না তখন।তবে নিজের নফসকে তালাক দি নি আমি।তালাক গ্রহন করি নি নিজের ওপর।এসব কথা দ্বারা কি তালাক হয়েছে?এসব আমি আর আমার স্বামীর কথা হুজুর। আমি হুজুর বার বার বলতাম আমি তালাক চাইলেও তালাক দিও না।স্বামি বলত ঠিক আছে।তহ হুজুর আমি  এই কথা গুলো দ্বারা নিজের ওপর তালাক প্রদানের জন্য বলতাম না।কারণ আমি ওনার সাথে সংসার ভাংতে চাইতাম না।আমি জানতাম ও না বউ তালাক দিতে পারে বা খুলার ব্যপারে।কথাগুলো কখন বলতাম কিভাবে বলতাম,ওনার কথার উত্তরে বলতাম কিনা আমার স্পষ্ট মনে নেই।বিশেষ করে চলে যাচ্ছি কথাটা কখন বলতাম মনে নেই।কিন্তু এসব কথা বলতাম।বেশি মনে হচ্ছে ওনার কথার উত্তরে বলেছি।বল্লেও হুজুর তালাকের নেয়ার জন্য বলতাম না।হুজুর আমার স্বামী কি বৈধ আছে?

পরিশেষে হুজুর আমরা আগে কেনায়া তালাকের ব্যপারে কিছুই জানতাম না।খুলা তালাকের ব্যাপারেও জানতাম না,নিজের ওপর যে তালাক নিতে পারে সেটা।শুধু জানতাম মেয়েরা চাইলে কাবিন নামায় মেয়ে তালাক দিতে পারে ওটা এডড করা যায়,এডড যে আছে কাবিন নামায় সেটাও জানতাম না, আর তালাক দিতে পারে।স্বামীও আমার মত জানত এই বিষয়ে মানে আমি যদ্দুর জানি অতটুকু।কিন্তু নিজের ওপর নিতে পারে এসব কিছুই জানতাম না আমি আর আমার স্বামীও ।আর কেনায়া তালাকের নিয়ত ছিল কিনা ওনিও জানে না।অনেক আগের কথা তহ হুজর।তবে শপথ করে বলতেছে ওনার মনে নেই।আর বলতেছে তালাকের নিয়তে বলি নি।আসলে ওনার মনেও নেই কি বলেছে।নিয়ত ও ছিল কিনা জানে না।তালাকের মজলিস ছিল কিনাও জানি না,মনে নেই।ওনাকে বার বার এই কেনায়া তালাকের ব্যপারে প্রশ্ন করায় উনি বিরক্ত হয়ে গেছে।বলতেছে যেগুলো হয় নি ওইগুলো নিয়ে প্রশ্ন করিও না।তখন শপথ করে বলেছিল মনে নেই কিছু আমার।বললেও কোনদিন তালাকের নিয়তে বলি নি এইরকম বকলেছিল সেদিন।বিরক্ত করিও না আর এসব বলে আমাকে এইরকম বলেছিল।তাই ওনাকে আর জিগ্যেস ও করতে পারতেছি না।হুজুর আমাদের কি এখন যিনা হবে?আমি অনেকবার রাগের মাথায়,তালাক চেয়েছি।ওনি দেন নি কারন তালাক দিলে তালাক হবে।কিন্তু কেনায়া তালাকের ব্যপারে আমরা জানতাম না।ওনি বলতেছে তালাক দেওয়ার নিয়ত ওনার ছিল না কোনদিন।হুজুর যদি বলেও থাকে কিন্তুু তালাকের নিয়ত ছিল কিনা জানি না ওনার।মজলিসের ব্যপারে ও অনিশ্চিত।এরকমে কি তালাক হবে?।আমার হুজুর তবুও ভয়,হচ্ছে। ওনার ও মনে নেই কিছু। হুজুর এখন কি আমাদের এক তালাক ও হবে?হুজুর টেনশনে স্বামীর সাথে কথাও বলতে পারতেছি না।হুজুর ওনার সাথে কি আমার নিশ্চিন্তে সংংসার করা উচিত? সারাজীবন কি যিনা হবে?কারণ হুজুর টেনশনে আমি ৩-৪ সপ্তাহ ধরে অসুস্থ। সবকিছু নিয়ে সন্দেহ কাজ করে।বলেছিল কিনা প্রতিটা কথা নিয়ে।আমাদের কি একটা তালাক ও হবে?আমার আর কোন কথা স্পষ্ট মনে নেই।মনে হচ্ছে আরো কিছু বলত।হুজুর আমাদের কি একটা তালাক ও হয়েছে? দয়া করে উত্তর দিয়েন।আমাদের সম্পর্ক বৈধ আছে কিনা

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}


★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় প্রশ্নে উল্লেখিত শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.

احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে যে তোমাকে আমি ছেড়ে  দিলাম, যা খুশি তাই করো,তুমি মুক্ত, তুমি স্বাধীন, তুমি স্বামী খুজো,বা স্বামী তালাশ করো,নিজের পরিবারে সাথে যুক্ত হও,তাহলে এটিও কেনায়া তালাক।
কেনায়া তালাক হলো ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা যেটা হয়।
কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয়।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য কিনায়া তালাকের বাক্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ বাক্য বলার সময় আপনার স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকলে এক তালাকে বায়েন আপনার উপর পতিত হবে।
স্বামী তালাকের নিয়ত করেছিলো কিনা,এটি স্বামী থেকে জেনে নিতে হবে।

(০২)
উল্লেখিত বাক্যও কিনায়া তালাকের বাক্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ বাক্য বলার সময় আপনার স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকলে এক তালাকে বায়েন আপনার উপর পতিত হবে।
স্বামী তালাকের নিয়ত করেছিলো কিনা,এটি স্বামী থেকে জেনে নিতে হবে।
  
(০৩)
এই কথার দ্বারা কেনায়া তালাক হবেনা।

(০৪)
এতেও তালাক হবেনা।

(০৫)
স্ত্রীর এ ধরনের বাক্য বলার দ্বারা কোনো তালাক হবেনা। 
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
,
স্ত্রী যদি বলে যে আমি তালাক গ্রহন করিলাম,আমি নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করিলাম,আমি নিজেকে নিজে তালাক দিলাম,বা এই জাতীয় অর্থবোধক কোনো বাক্য বলে,  তাহলেই কেবল তালাক পতিত হবে। 
নতুবা স্ত্রীর কথায় তালাক পতিত হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...