আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,048 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
ফরয ইলম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন।
১৷ফরয ইলম কাকে বলে?
২।কোন কোন বিষয়গুলো ফরয ইলম এর অন্তর্ভুক্ত?
৩।ফরয ইলম অর্জনের ন্যুনতম সময়সীমা কতটুকু?
৪।ফরয ইলম অর্জনের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা(যেমন কার কাছ থেকে অর্জন করতে হবে,কিভাবে
 অর্জন করতে হবে,না অর্জন করার পরিণতি ইত্যাদি)

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
উত্তর
 وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হযরত আনাস ইবনে মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ : ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲِّ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪِ ﻭﺳﻠَّﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝَ : ( ﻃَﻠَﺐُ ﺍﻟﻌِﻠْﻢِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔٌ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ) . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ( 224 ) .
দ্বীনি জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   
وَفَرْضٌ عَلَى كُلِّ مُكَلَّفٍ وَمُكَلَّفَةٍ بَعْدَ تَعَلُّمِهِ عِلْمَ الدِّينِ وَالْهِدَايَةِ تَعَلُّمُ عِلْمِ الْوُضُوءِ وَالْغُسْلِ وَالصَّلَاةِ وَالصَّوْمِ، وَعِلْمِ الزَّكَاةِ لِمَنْ لَهُ نِصَابٌ، وَالْحَجِّ لِمَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ وَالْبُيُوعِ عَلَى التُّجَّارِ لِيَحْتَرِزُوا عَنْ الشُّبُهَاتِ وَالْمَكْرُوهَاتِ فِي سَائِرِ الْمُعَامَلَاتِ. وَكَذَا أَهْلُ الْحِرَفِ،
প্রত্যেক মুকাল্লাফ-মুকাল্লাফাহ(আক্বেল-বালেগ নর-নারী)এর উপর দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের পর ফরয হচ্ছে,ওজু,গোসল,নামায এবং রোযা,এর জ্ঞান অর্জন করা।
এবংনেসাবপ্রাপ্ত মালের মালিকের উপর যাকাতের জ্ঞান অর্জন করা।
এবং যার উপর হজ্ব ফরয,তার জন্য হজ্বের বিধি-বিধান অর্জন করা।
এবং ব্যবসায়ীদের উপর ব্যবসা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা।এজন্য ফরয,যাতে তারা উক্ত বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন অস্পষ্টতা,সন্দেহ ও অপছন্দনীয় দিবসসমূহ থেকে অনায়াস বেছে থাকতে পারে।ঠিকতেমনিভাবে পেশাজীবীদের জন্য সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরয।
,
বিস্তারিত জানুন 
,
(০১) ফরয ইলম বলতে যেটা বুঝানো হয়েছে,সেটা হলো যেই পরিমান এলেম অর্জন না করলে গুনাহ হবে।
,
এক্ষেত্রে ফরজ ইলেম ২ প্রকার।
(১) ফরজে আইন।
(০২) ফরজে কিফায়াহ।
ফরযে আইন পরিমান এলেম অর্জন করা সকলের উপর ফরজ।
 না করলে প্রত্যেকেই গুনাহগার হবে।
ফরযে কিফায়াহ বলা হয়,যেটা শিক্ষা করা পুরো সমাজের উপর ফরজ। 
কয়েকজন শিক্ষা করলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।
কেহ যদি শিক্ষা অর্জন না করে,তাহলে সমাজের সকলেই গুনাহগার হবে।
(০২) 
প্রত্যেক বালেগ বালেগাহ এর উপর দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের পর ফরয হচ্ছে,ওজু,গোসল,নামায এবং রোযা,এর জ্ঞান অর্জন করা।
এবংনেসাবপ্রাপ্ত মালের মালিকের উপর যাকাতের জ্ঞান অর্জন করা।
এবং যার উপর হজ্ব ফরয,তার জন্য হজ্বের বিধি-বিধান অর্জন করা।
এবং ব্যবসায়ীদের উপর ব্যবসা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা।এজন্য ফরয,যাতে তারা উক্ত বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন অস্পষ্টতা,সন্দেহ ও অপছন্দনীয় দিবসসমূহ থেকে অনায়াস বেছে থাকতে পারে।ঠিকতেমনিভাবে পেশাজীবীদের জন্য সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরয।
,
আর ফরযে কিফায়াহ হলো দ্বীনের সম্পুর্ন জ্ঞান অর্জন করা।
(০৩) ফরজ ইলেম বালেগ বালেগাহ হওয়ার সময় থেকেই  অর্জন করা ফরজ হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে কেহ যদি তা অর্জন করতে না পারে,তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
"বয়স অনেক হয়ে গেছে" বলে ফরজ ইলেম থেকে দূরে থাকা কখনোই জায়েজ হবেনা।

(০৪) শরয়ী সীমারেখার আওতায় থেকে যে কাহারো থেকে ইলম শিক্ষা অর্জন করা যাবে।
এক্ষেত্রে নামাজ পড়ার জন্য কমপক্ষে ফাতেহা সুরা 
সহ ৫ টি সুরা ছহীহ ভাবে  মুখস্থ করতে হবে।
এটা মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন বা যেকোনো শুদ্ধ ভাবে কুরআন পড়নে ওয়ালার কাছ থেকে শেখা যাবে।
নামাজের যাবতীয় মাসয়ালা মাদ্রাসায় গিয়েও শিখা যাবে।
মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকেও শেখা যাবে।
উলামায়ে কেরামদের কিতাবাদী পড়েও দ্বীনের ফরজ জ্ঞান অর্জন করা যাবে।
তবে কোনো একজন শিক্ষকের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করাই উচিত। 
এতে দিকভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
,
তাই কোনো একটি মাদ্রাসায় গিয়ে জ্ঞান অর্জন করাই উচিত।                
,
ফরজ জ্ঞান অর্জন না করলে ফরজ তরকের  গুনাহ হবে।
এই কারনে নামাজ রোযা ইত্যাদির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা হবে,সকল গুনাহ নিজের কাধে বর্তাবে।
তাই জরুরি ভাবেই দ্রুত ফরজ জ্ঞান অর্জন করা জরুরী।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 208 views
...