জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ "
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সাওয়াব আছে। আর সাওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।
সহীহঃ তিরমিজি ২৯১০.তাখরীজুত তাহাবীয়াহ (১৩৯), মিশকাত (২১৩৭)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উল্লেখিত হাদীস অনুযায়ী জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারন করলেই কেবল কুরআন শরীফের প্রতিটি হরফ তিলাওয়াতে ১০ নেকী পাওয়া যাবে।
মনে মনে তিলাওয়াত করলে উক্ত ছওয়াব পাওয়া যাবেনা।
,
তবে মনে মনে তিলাওয়াত করলে,মনে মনে যিকির করলে যেহেতু অন্তরে সর্বদা আল্লাহর স্বরনের বিষয় আসে,তাই এক্ষেত্রেও ছওয়াব হবে।
তবে উল্লেখিত হাদীস মোতাবেক ছওয়াব হবেনা।
নামাজে এধরণের তিলাওয়াত গ্রহণযোগ্য নয়।
কোনো সময় নির্দিষ্ট সুরা তিলাওয়াতের অযিফা থাকলে এভাবে তিলাওয়াত করলে সেই অযিফা আদায় হবেনা।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উচ্চারণই করছেনা,বরং মনে মনে পড়ছে,তাই এক্ষেত্রে মাখরাজ ঠিক করার কোনো সুযোগ হবেনা।
মাখরাজ তো সেই সময়েই হবে, যখন শব্দটি উচ্চারণ করবে।