ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5573 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আপনি যে হাদীস বলেছেন তার মূল আরবী পাঠ হল,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
তরজমাঃহযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর। (সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পূজা দেখে উপভোগ করার অর্থ যদি এমন হয় যে,এটা আমাদের ধর্ম থেকে উত্তম প্রার্থনা পদ্ধতি, আমিও এমন করতে চাই,বা আমাদের ধর্মে কেন এমন হলনা?তাহলে ঈমান চলে যাবে। আর যদি এমন না হয়, বরং পুজায় সংগঠিত ঘটনা বা তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে উপভোগ করা হয় কিন্তু অন্তরে পুজাকে ঠিকই গৃনা করা হয় বা পুজাকে নিজের জন্য অপছন্দ করা হয়,তাহলে তার আসল(ত্রুতিপূর্ণ)ঈমান অবশ্যই বাকী থাকবে,যদিও তার মধ্যে কামিল ঈমানের লেশমাত্রও বিদ্যমান থাকবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৯৮২্
পুজাকে উদ্ভোধনের অর্থ যদি এটা হয় যে,কেউ উপস্থিত হওয়ার পর হিন্দু ধর্মগুরুরা পুজা শুরু করবে,তাহলে এক্ষেত্রে ব্যাখ্যা প্রযোজ্য। যদি সে পুজাকে সম্মান করে এবং উত্তম মনে করে উদ্ভোধনে যায়,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।আর যদি রাজনৈতিক স্বার্থে সেখানে কেউ যায়,তাহলে যদিও ঈমান যাবে না,তবে তার ঈমান দুর্বল বলে প্রমাণিত হবে।এমন পথে না হাটাই একজন মুসলমানের জন্য কাম্য ও উচিৎ।
কিন্তু যদি কেউ পুজার নির্দিষ্ট কিছু কাজে শরীক হয়ে এর মাধ্যমে পুজাকে উদ্ভোধন করে,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
(২)
উপরোক্ত ব্যখ্যার আলোকে পূজাকে সম্মান না দিলে, তাতে আর্মি বা পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে।
(৩)
https://www.ifatwa.info/1382 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফুকাহায়ে কেরাম গণের উপরোক্ত আলোচনার নিমিত্তে আমরা নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তে উপনীতে হতে সক্ষম হবো যে,
(১)
বাংলাদেশ ৯০ ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ। -যেহেতু অনৈসলামিক উৎসবে মুসলমানদের জন্য পরস্পর হাদিয়া দেওয়া-নেওয়া হারাম,তাই
(ক)এদিনে সরকারী ছুটিসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা প্রদাণ করা কোনো মুসলিম রাষ্ট্রর জন্য জায়েয হবে না।
(খ)এবং এদিনে কোনো মুসলিম কম্পানি বা অধিকাংশ শেয়ারহোল্ডার মুসলিম -এমন কম্পানি কর্তৃক ছাড় দেওয়া জায়েয হবে না।এবং সেই কমিশনকে গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
(গ)এদিনে উৎসবমূখর পরিবেশ সূষ্টি ও তাতে আনন্দ বিনোদন জায়েয হবে না।
(ঘ)যথাসম্ভব সেই আনন্দ স্রোতের উল্টা চলাই তখন ঈমানের দাবী বলে পরিগণিত হবে।
(২)
(ক)অমুসলিম রাষ্ট্রে অবস্থানরত মুসলিম নাগরিকদের জন্য অনৈসলামিক উৎসব উপলক্ষ্যে সেই রাষ্টের ভাতা গ্রহণ করা যদিও জায়েয হবে। তবে গ্রহণ না করাই তাকওয়ার দাবী।
(খ)মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিম কম্পানি কর্তৃক ছাড়/কমিশন গ্রহণ বৈধ। তবে পরিত্যাগই শ্রেয়। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।