আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
183 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (40 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুৃম ওরাহমাতুল্লা। দয়া করে ২টা প্রশ্নের উত্তর দিয়েন।মারাত্বক টেনশনে আমি।

১।বন্ধু একজন বউ বলে ডাকত একজন।আরেকজন ডার্লিং বলে ডাকত।আমি ওদের কথাকে সিরিয়াসলি নিতাম না।ওরা ছিল স্কুলের বন্ধু। স্কুলে থাকতে বলত, সবার সামনে। আমি কি বলেছি আমার কিছুই মনে নেই বন্ধু  দুইটা কে।সম্মিত সূচক কিছু বলেছিলাম কিনাও জানি না।যদ্দুর মনে আছে আমি ওদের জামাই  ভাবতাম ও না।বাকি গুলো আল্লাহ জানে।তবে যে ডার্লিং বলত ওকেও আমি ডার্লিং বলতাম।তবে স্বামি হিসেবে বলতাম না।শয়তানের ওয়াসওয়াসায় স্বামি হিসেবে ডার্লিং  বলেছিলাম কিনাও জানি না কোনদিন।ওদের মনে কি ছিল আল্লাহ জানে।তবে ওরা বলত বোন হিসেবে দেখে।আমার মনে মাঝে মাঝে ওদের নিয়ে খারাপ চিন্তা আসত।উঠতি বয়সের ছিলাম তহ।অনেক আগের কথা।৪-৫ বছর আগের।পাশে কে কে ছিল মনেও নাই।কিন্তুু আমি ওদের কোনদিন জামাই ভাবি নি।সম্মতিসূচক কিছু বলেছি বলে মনে হচ্ছে না।জানি না মনে নেই।এখন আমার বিয়ে হয়েছে অন্য জায়গায় ।আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ে বৈধ হবে তহ হুজুর?দয়া করে উত্তর দিয়েন।আমার আর কিছু মনে নেই।আমি কি বলেছি সেটা।এখন আমার বিয়ে হয়েছে অন্য জায়গায়। আমার বিয়ে বৈধ হবে তহ হুজুর? স্বামী কেও বলতে পারব না এই বিষয়ে।আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ে বৈধ হবে?  স্বামীর পাশে যেতেও ভয় লাগে।আমার স্বামীকে অনেক ভালবাসি।আমি ওয়াসওয়াসা রুগী।সবকিছু নিয়ে সন্দেহ হয়।বিয়ে বৈধ হয়েছে কিনা ভেবে পাশে যেতেও ভয়,লাগে।সবসময় ভয় হয় বিয়ে বৈধ হয়েছে কিনা? যিনা হচ্ছে কিনা? স্বামীকেও কিছু বলতে পারতেছি না।

২।কেনায়া তালাকের নিয়ত ছিল কিনা মনে না থাকলে এবং তালাকের মজলিশ ছিল কিনা মনে না থাকলে কি তালাক পতিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,750 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.
সারমর্মঃ
ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।
ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।    

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিবাহের ক্ষেত্রে ইজাব কবুল শর্ত।
ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি মেয়ে বা ছেলের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য। যেমন- বরকে/কনেকে লক্ষ্য করে বলা যেতে পারে “আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম” অথবা এ ধরনের অন্য কোন কথা।

বা বর/কনে বললো আমি তোমাকে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করলাম।

কবুল বা গ্রহণ: এটি বর/ বরের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বা কনে/ কনের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন- বর বলতে পারেন “আমি গ্রহণ করলাম” অথবা এ ধরনের অন্য কোন কথা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো ইজাব কবুল পাওয়া যায়নি।
তাই আগের এসব বাক্য বলে ডাকাডাকি কোনোটা দিয়েই বিবাহ হয়নি।
,
সুতরাং প্রশ্নে  উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীর সাথে আপনার বিয়ে বৈধ হবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।

(০২)  
বিষয়টির ক্ষেত্রে স্বামীর কথা ধর্তব্য।
স্বামী যদি নিশ্চিত হয় যে তালাকের নিয়ত ছিলো বা তালাকের মজলিস ছিলো,তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

আর যদি স্বামীর বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি হয়,তাহলে তালাক হবেনা।
কেননা সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত  হয়না।  নিশ্চিত হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...