আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
10,254 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (48 points)
closed by
আসসালামুয়ালাইকুম। অনেক মুরুব্বি বলে থাকেন রাতের বেলা নখ কাটা উচিত নয়। আমার বেশিরভাগ সময়ই রাতের বেলায়ই নখ কাটার কথা মনে পড়ে। যেহেতু প্রচলন আছে রাতে নখ কাটতে নেই সেহেতু আমার নখ বড় হতেই থাকে। ইসলামী শরিয়াহতে কি রাতে নখ কাটা নিয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (574,560 points)
selected by
 
Best answer
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

রাতে নখ, চুল, গোঁফ ইত্যাদি  কাটা যাবে না।
রাতে গাছের পাতা ছেঁড়া যাবে না।
রাতে বাঁশ কাটা যাবেনা
অনেক এলাকার মানুষের মাঝেই  এগুলো এবং রাতকেন্দ্রিক  এরকম আরো কিছু বিষয়ের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু এসব মনগড়া কথা, শরীয়তে এর  কোনো ভিত্তি নেই। কুরআন-হাদীসের  কোথাও এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা  নেই। সুতরাং এ ধরনের বিশ্বাস পোষণ করা যাবে না।
,
এগুলো আমাদের দেশে প্রচলিত যেসমস্ত কুসংস্কার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি। আপনি রাতে নখ কাটতে পারবেন, চুল কাটতে পারবেন, ঝাড়ুও দিতে পারবেন, এটি গর্হিত কাজ নয়। তবে সাধারণত মানুষ এ কাজগুলো অর্থাৎ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো দিনের বেলায় করে থাকেন। যেহেতু রাতকে মানুষেরা বিশ্রামের জন্যই রাখেন। 
,
কুরআনে কারীমের মধ্যে সূরা নাবার ১০ নং আয়াতে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,

وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
“আর রাতকে আমি পোশাকের মতো করেছি।” যাতে করে মানুষ ঘুমাতে পারেন, আরাম করতে পারেন এজন্য। 
,
তাই এ কাজগুলো অনেকেই দিনের বেলায় করে থাকেন। কারণ, রাতে করতে গেলে অনেকসময় ভুলত্রুটি হয়ে যেতে পারে। 
,
আরেকটি কারণে লোকেরা এই কাজগুলো রাতে করে থাকেন আর সেটি হচ্ছে আগেকার যুগে রাতে নখ কাটা, চুল কাটা এবং ঝাড়ু দেয়ার কাজটি কঠিন ছিল। সেখানে নখ কাটার এবং চুল কাটার পদ্ধতিগুলোও জটিল ছিল, ঝাড়ু দেয়ার পদ্ধতিও সহজ ছিল না। 
,
কারণ, রাতে অন্ধকার থাকতো; এবং সেখানে আলোর বন্দোবস্ত করারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন কুপি বাতি জ্বালানো হতো অথবা সামান্য কোনো আলোর ব্যবস্থা অর্থাৎ আগুন জ্বালানো হতো তাই এ কাজগুলো রাত্রে সম্পাদন করা অনেক কঠিন ছিল। এ কারণেই সম্ভবত লোকেরা এ কাজগুলো রাত্রে করতে অপছন্দ করেছেন অপছন্দ করেছেন। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্ এখন রাত আর দিনের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই অর্থাৎ রাতেও সকল প্রকার কাজ চলে এবং দিনেও সকল প্রকার কাজ চলে। 
,

সুতরাং, এ কথাটি এখন কুসংস্কারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ, যেহেতু শরিয়তের বিধানে অর্থাৎ কুরআন এবং হাদিসে এ কাজগুলো রাতে করা যাবে না এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই৷ তাই এ কথাগুলো বলার আর এখন কোনো অবকাশ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছে  
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ " . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ .

মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও হামাহ- এসবের কোন অস্তিত্ব নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব বলল, হে আল্লাহর রসূল! বর্ণনাকার ইউনুস (রহঃ) কর্তৃক রিওয়ায়াতকৃত হাদীসের অবিকল। (মুসলিম শরীফ ৫৬৮২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...