আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,080 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (40 points)
edited by
প্রশ্ন দুইটার উত্তর দিয়েন দয়া করে।

১।আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লা। হুজুর কেনায়া তালাকের ব্যাপারে শুনার পর থেকে আমি অনেক টেনশনে আছি।আমার স্বামী আর আমি কেউ কেনায়া তালাকের ব্যাপারে জানতাম না।আমারা। একে অপরের কাছ থেকে দূরে থাকায়,প্রায় সময় রাগ,অভিমান,ঝগড়া হত।আমার মনে হচ্ছে স্বামী কেনায়া তালাকের কথা বলেছে অনেকবার।কিন্তুু ঠিক কি বলেছে স্পষ্ট মনে নেই।70% নিশ্চিত হলেও বাকি ৩০% অনিশ্চিত থাকি।কিন্তুু তালাকের নিয়তে বলত কিনা জানি না কথা গুলো।স্বামীও জানে না তালাকের নিয়তে বলত কিনা।ওনি শুধু বলতেছে তালাকের নিয়ত ছিল না।আসলে ওনিও নিয়ত নিয়ে সন্দেহে। আর কি কথা বলেছে ওনার মনেও নেয়।আমার মনে হচ্ছে বললেও অভিমান করে বলত।যেমনঃ আমি অশিক্ষিত এতুটুকুতে আসলে আসিও,মানে ওনার বাসায় আর কি,আমি মোটা বিচ্ছিরি ভাল না লাগলে আসিও না,আমি গরিব,ফকির আসিও না মা বাবা যেরকম দিবে করিও ।এগুলো একটু একটু মনে আছে।ওর কথা  দ্বারা এইরকম মিন করত কিন্তু এই কথাগুলো কিনা জানি না।এইরকম বুঝাতো ওর কথা দ্বারা।তালাকের নিয়তে বলত কিনা জানি না।তালাকের মজলিসের ব্যাপারেও অনিশ্চিত।এমন অবস্হায় তালাকের নিয়ত নিয়ে সন্দেহ থাকলে কি তালাক হবে?আমরা একসাথে সংসার করলে কি কোন গুণাহ হবে? আমি ভয়ে স্বামীর সাথে কথাও বলতে চাই না।ভয় লাগে আমার যিনা হচ্ছে কিনা ভেবে।বার বার মনে হচ্ছে সন্তান হলে কোন জারজ হবে কিনা।আমি ভয়ে সবসময় কান্নাকাটি করি।আমি চিন্তায় স্বাভাবিক থাকতে পারতেছি না। আর হুজুর আমার কি মনে করার চেষ্টা করা উচিত? আমরা সংসার ভাংতে চাই না।

২।আমাদের একটা বন্ধু  আমাদের ৩ বান্ধবীকে দুষ্টামি করে বউ ডাকত।সবার সামনে ডাকত।আগে স্কুলে কথা হত সরাসরি।স্কুল ফ্রেন্ড গ্রুপে মেসেজে কথা,হয় আর কি এখন।আমরা কোনদিন কবুল ও বলি নি।ওর কথা কোনদিন সিরিয়াসলি নি নাই।জামাই ও বলি নি কোনদিন।কারন আমরা জানতাম ওইগুলো দুষ্টামি করত।আর আমার স্মামীর সাথে আমার আগে থেকে পরিচয়।মনে মনেও স্বামী হিসেবে ভাবি নাই বন্ধু ওটাকে।কবুল ও বলি নি।মাঝে মাঝে বলতাম দুস্টামি করে মুবাইল পাঠা তহ বিয়ে করবি বলতেছস/বউ বলতেছস।বন্ধু বলত আপনি কে? চিনি না আপনাদের। আর মাঝে মাঝে আমি বলতাম কে বিয়ে করতেছে যে তোকে?বোন ও ডাকত আবার।এই রকমের মধ্যে কি বিয়ে হয়? যেখানে কবুল বলা হয় না,ইজাব হয় না।।আর জানতাম দুস্টামি করত সবার সামনে।মন থেকেও গ্রহন করি নি কোনদিন।প্লিজ উত্তর  দিয়েন।যখন শুনছি বিয়ে এমনিতে হয়ে যায়।ভয়,লাগতেছে।ইজাব, কবুল কিছুই হয় নি,মোহরনাও ধার্য হয়নি।।আর মন থেকেও কোনদিন  মানি নাই।এখন আমার বিয়ে অন্য জায়গায় হয়েছে। দয়া করে উত্তর দিয়েন।আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ে বৈধ হবে না হুজুর?আমার যদ্দুর মনে আছে কবুল বলি নি। তবে সিওরলি মনে হচ্ছে কবুল বলি নি।ইজাব আর মোহরনাও বলত না।ইজাব আর মোহরানা  ধার্য হয় নি কবুল কেন বলব?৬-৭ বছর আগের বন্ধু আর কি বলেছে মনে নেই।বন্ধু ওটাও মন থেকে বলত না।আমি ওয়াসওয়াসা রূগী আমি সবকিছু নিয়ে সন্দেহ এবং ভয় হচ্ছে।আগের কথা তহ।যদ্দুর মনে পড়ে কবুল বলি নি।তবুও সন্দেহ আর ভয় হচ্ছে।কারণ হুজুর বন্ধু  উটার কথাকে পাত্তা দিতাম না।খুব ভয় হচ্ছে। এখন আমার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়।আমার স্বামীর সাথে ভালবেসে বিয়ে হয়।তাই বন্ধু ওটার কথাকে পাত্তা দিতাম না,বন্ধু ওটাও দুস্টামি করত যে। আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ে বৈধ হবে?যিনা হবে কোন আমার স্বামীর সাথে? আমি চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি।

উত্তর দুইটা নাম্বার দিয়ে দিয়ে দিয়েন।বুঝি মত।

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী))(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

'গার্জিয়ানকে ডাকো, তোর আর সাথে সংসার করবো না'
এরকম কথাবার্তা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরা এমন কথা স্বামী তালাকের নিয়তে বললে তালাকে বায়েন বায়েন পতিত হবে।এক তালাকের নিয়ত থাকলে এক তালাক,আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে তিন তালাক পতিত হবে।আর ভয়প্রদর্শনের নিয়তে বললে অবশ্যই তালাক পতিত হবে না(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৫১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি অমূলক সন্দেহের আছেন।এমন জিনিষ নিয়ে টেনশন করছেন, যার আদেশ শরীয়ত দেয়নি।স্বামী-স্ত্রী কারো স্পষ্টভাবে মনে না থাকলে তালাক হবে না।কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে স্বামীর নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।নিয়ত ছিল কি না? সেটা স্বামীর কথার দ্বারাই বুঝা যাবে।এক্ষেত্রে স্বামী মিথ্যা বললে স্ত্রীর কোনো গোনাহ হবে না। স্ত্রীর জন্য সংসার করা জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (40 points)
হুজুর আগের কথা স্বামীও জানে না নিয়ত ছিল কিনা।আমিও জানি না।একটু একটু মনে আছে যে আমার।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...