আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
511 views
in সালাত(Prayer) by (35 points)
edited by
১।ট্রেনে বা বাসে থাকলে নামাজ আদায় অনেকটা অসুবিধাজনক।আমি যদি বুঝতে পারি যে আসর নামাজ আমাকে ট্রেনে বা বাসে থাকতে হবে তাহলে আমি কি যোহরের ওয়াক্তের সময় আসর নামাজ পড়তে পারব?

২।ট্রেনে বা বাসে যদি ওযু করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে যদি মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় তাহলে কি মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে আদায় করা যাবে?নাকি মাগরিবের নামাজ কাজা হিসেবে আদায় হবে?

৩।জুম্মার নামাজ ছুটে গেলে কয়েকজন মিলে জুম্মার নামাজ আদায় করা যাবে?নাকি যোহর নামাজ আদায় করতে হবে?

৪।জুম্মার দিন জুম্মা ছুটে গেলে একাকী আদায় করলে জুম্মার নামাজ পড়তে হবে নাকি যোহর নামাজ?

৫।সফর অবস্থায় কি যোহর,মাগরিব ও এশার নামাজের সুন্নত পড়তে হবে?

৬।সফর অবস্থায় জুম্মার নামাজ ছুটে গেলে কোন নামাজ কত রাকাত পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/827 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আরাফার দিন যোহর-আসর কে এবং মুযদালিফার রাত(নহরের রাত)মাগরিব-এশাকে এক সাথে পড়া জায়েয।এ সম্পর্কে সমস্ত উলামায়ে কেরামদের ইজমা রয়েছে।বিস্তারিত জানতে দেখা যেতে পারে-(আল ইজমা-ইবনুল মুনযির-৩৮,মারাতিবুল ইজমা-৪৫,আল-আওসাত্ব-২/৪২১)

এছাড়া সফর বা অন্য সময়ে দুই নামাযকে একসাথে পড়া কি শরীয়তে অনুমোদিত?সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।
(১)মালিকি, শাফেয়ী, হাম্বলী উলামাগণ একমত যে,সফরের হালতে যোহর-আসর, এবং মাগরিব-এশার একত্রিকরণ জায়েয আছে।(শরহুল কাবীর-১/৩৬৮,মুগনীল মুহতাজ-১/৫২৯,কাশ্শাফুল ক্বানা'-২/৫)

(২) হানাফি উলামাগণ বলেন,
ﻻ ﺟﻤﻊ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺿﻴﻦ ﻓﻲ ﻭﻗﺖ . ﻭﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺇﻻ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺍﻟﺼﻮﺭﻱ ﺑﺘﺄﺧﻴﺮ ﺍﻟﻈﻬﺮ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﺛﻢ ﺃﺩﺍﺀ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﻣﺎ ﻋﺪﺍ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺑﻌﺮﻓﺔ ﻭﻣﺰﺩﻟﻔﺔ
আরাফা এবং মুযদালিফা ব্যতীত আর কোথাও দুই নামাযকে একত্রিকরণের বিধান নেই।তবে বাহ্যত দু'টি নামাযকে এভাবে একত্র করে পড়া যেতে পারে যে,যোহরের নামাযকে একেবারে শেষ ওয়াক্তে এবং আছরের নামাযকে একেবারে প্রথম ওয়াক্তে এমনভাবে পড়া যে, দৃশ্যত দু'টি নামাযকে একতত্রিত বুঝা যাবে, যদিও বাস্তবতায় প্রত্যেক নামাযকে তার ওয়াক্তে পড়া হচ্ছে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-১/৩৮১)শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেকোনো দুই নামাজকে একত্রে পড়ার কোনো সুযোগ নাই।বরং প্রত্যেক নামাযকে তার সময়েই পড়তে হবে।

(২)
https://www.ifatwa.info/573 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
এ সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়াতে(১/৩৪৮পৃঃ) সবিস্তারে বর্ণিত আছে,প্রয়োজনীয় অংশ নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে......
এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা ।
যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যানবাহনে অজু না থাকলে তায়াম্মুম করে ইশারার মাধ্যমে নামায পড়তে হবে।এবং পরবর্তীতে উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নিতে হবে।

(৩)
যে সমস্ত স্থানে জুম্মার শর্ত সমূহ বিদ্যমান থাকার  কারণে অতীত থেকে জুম্মার নামায হয়ে আসছে, তারা যদি বর্তমানে জুম্মার নামায পড়তে না পারেন।তাহলে যোহরের নামাযকে পৃখক পৃথক ভাবে আদায় করে নেবেন।

আর যে সমস্ত এলাকায় জুম্মার শর্ত সমূহ অনুপস্থিত থাকায় অতীত থেকে জুম্মার নামায প্রচলিত নয়,সে সকল স্থানে বর্তমানে জুম্মার স্থলে যোহরের নামায জামাতের সাথে পড়া যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1172

(৪)
একাকি হলে জোহরের নামায পড়তে হবে।

(৫)
সময় সুযোগ থাকলে সুন্নত পড়ে নেয়াই উত্তম।
(৬) সফর অবস্থায় জুম্মা ছুটে গেলে জোহরের দুই রাকাত কাযা পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...