বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মাসিক অবস্থায় এমনিতেই শরীর নাপাক থাকে, সুতরাং বীর্য বের হলে গোসল করা বা পবিত্রতা অর্জন করা জরুরী নয়।এমনকি তখন গোসল করলে কেউ পবিত্রও হবে না। হ্যা, শরীর ও মনকে সতেজ করতে গোসল করা যেতে পারে।
(২)
https://www.ifatwa.info/4344 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: ولو خاف الزنى إلخ) الظاهر أنه غير قيد بل لو تعين الخلاص من الزنى به وجب؛ لأنه أخف وعبارة الفتح فإن غلبته الشهوة ففعل إرادة تسكينها به فالرجاء أن لا يعاقب اهـ زاد في معراج الدراية وعن أحمد والشافعي في القديم الترخص فيه وفي الجديد يحرم ويجوز أن يستمني بيد زوجته وخادمته اهـ وسيذكر الشارح في الحدود عن الجوهرة أنه يكره ولعل المراد به كراهة التنزيه فلا ينافي قول المعراج يجوز تأمل وفي السراج إن أراد بذلك تسكين الشهوة المفرطة الشاغلة للقلب وكان عزبا لا زوجة له ولا أمة أو كان إلا أنه لا يقدر على الوصول إليها لعذر قال أبو الليث أرجو أن لا وبال عليه وأما إذا فعله لاستجلاب الشهوة فهو آثم اهـ
যদি হস্তমৈথুন ব্যতীত কামপ্রবৃত্তি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার বৈধ কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে সেটা করা ওয়াজিব।হ্যা কারো যদি কামপ্রবৃত্তি চড়াও হয়ে যায়,এবং সে এত্থেকে বাঁচতে হস্তমৈথুন করে নেয়,তাহলে আশা করা যায়,তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।ইমাম আহমদ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ থেকে মে'রাজুদ-দেরায়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে,পূর্ববর্তী যুগে অনুমতি থাকলেও বর্তমানে এর অনুমোদন নাই।হ্যা স্ত্রী বা বাদীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।কোনো কোনো কিতাবে হস্তমৈথুনকে মাকরুহ বলা হয়েছে।আস-সিরাজ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,যদি কেউ হস্তমৈথুন দ্বারা নিজ অন্তরকে কামপ্রবৃত্তির অশান্তি থেকে প্রশান্ত করতে চায়,এমতাবস্থায় যে সে অবিবাহিত এবং তার কোনো বাদীও নাই বা সে বিবাহিত কিন্তু সহবাস করা তার জন্য অসম্ভব,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ইমাম আবুল লেইস সমরবন্দি রাহ মনে করেন,আশা করা যায়,এমতাবস্থায় তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।তবে কেউ নিজ কামপ্রবৃত্তিকে উপভোগ করার নিমিত্তে এমনটা করলে, তার অবশ্যই অবশ্যই গোনাহ হবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৯৯)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4344
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হস্তমৈথুন কোনো সমাধান নয়।আপনি বিয়ে করুন। কামপ্রবৃত্তিকে উপভোগ করতে হস্তমৈথুন করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।হ্যা, স্ত্রী থেকে দূরে হলে, তখন হস্তমৈথুন অনুমোদিত। আপনার উপর বিয়ে করা ওয়াজিব।