বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/358 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে
রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার রেশম বা পশমের এমন কাপড়ে যাতে নকশা এবং কারুকার্য বিদ্যমান ছিলো,তাতে নামায পড়তেছিলেন। হঠাৎ নামাযের মধ্যেই সেই কারুকার্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হল।যখন রাসূল সাঃ নামায থেকে সালাম ফিরালেন।তখন বললেন,উক্ত কারুকার্যময় কাপড়কে নিয়ে তোমরা আবু-জাহমের নিকট যাও এবং তাকে দিয়ে আসো। সাথে সাথে আবু-জাহমের কারুকার্যহীন চাদর-কে আমার নিকট নিয়ে আসো।কেননা উক্ত কারুকার্য আমাকে কিছু সময়ের জন্য নামায থেকে গাফিল করে রেখেছিলো।
অন্য বর্ণনায় এসেছে,রাসূল সাঃ বলেন,আমি নামাযে থাকা অবস্থায়-ই উক্ত কারুকার্যের দিকে আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। আমার ভয় হল যে,না জানি কি আমি ফিতনায় পড়ে যাই। (সহীহ বুখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম- ৫৫৬)
কা'বা ঘরের ফটো অঙ্কিত জায়নামাজ অপছন্দনীয়(মাকরুহ)। তাতে নামায পড়াও অপছন্দনীয়(মাকরুহ) । কারণ হল,তাতে মনযোগ বিনষ্ট হতে পারে বা হবেই। তবে ক'বা ঘরকে পদপৃষ্ঠ করার অাশংকা থেকে উক্ত জায়নামাজ কে ব্যবহার করা মাকরুহ বলাটাও আপাতত যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না।কেননা সাধারণত কেউ ইচ্ছা করে কা'বা ঘরের ফটোকে পৃষ্ঠ করবেনা।তারপরও পদপৃষ্ঠ হওয়ার একটা আশংকা থেকেই যায়।সর্বাবস্থায় মনযোগে ব্যাঘাত ঘটবেই। সুতরাং কা'বা ঘরের ফটো সংবলিত জায়নামাযে নামায পড়া কখনো উচিৎ হবে না।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কা'বা ঘর সম্ভলিত জায়নামাযকে নতুন করে ক্রয় করা উচিৎ নয়। হ্যা পূর্ব থেকে নিজের সংগ্রহে থাকলে যারা কা'বা ঘরের আদব সম্পর্কে অবগত, এবং যাদের মনযোগ বিনষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই, বা প্রায় শূণ্যর কোটায়, তারা উক্ত জায়নামাযে নামায পড়তে পারবে। সুতরাং উক্ত জায়নামাযকে সাধারণত ব্যবহার না করে সংগ্রহে যত্নসহকারে রাখা উচিৎ। শুধুমাত্র বুঝদার ব্যক্তিবর্গরাই তাতে নামায পড়বেন। বুঝদার কেউ না থাকলে সেটাকে সংরক্ষণে রেখে দেয়া হবে।