আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
337 views
in পবিত্রতা (Purity) by (34 points)
reopened by
১.আসসালামু আলাইকুম, আমি যখন আমার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতাম তখন তো আমি জানতাম না যে কার বাবার টাকার উৎস কি।  অনেকের বাবা হয়তোবা অনেক কষ্ট করে হালাল ইনকাম করে, আবার অনেকের হয়তো বা হারাম ইনকামের সাথে জড়িত। যখন অনেক সময় অনেকেই অনেককে খাওয়াতো যাদের বাবার সম্পদ হারাম সেটা জানতাম কিন্তু বুঝতাম না যে সে কিছু খাওয়ালে আমার খাওয়া যাবেনা তবুও এটা অজ্ঞতাবশত খেয়েছি। এখন কি তওবা পড়ে সচেতন হলে আল্লাহ কি আমার পূর্বের পাম্পগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আর ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে কেউ যদি খাওয়াতে চায় সেক্ষেত্রে যদি আমি না জানি তার বাবার টাকার উৎস কি তাহলে আমি কি করতে পারি।

২. বিকাশ /নগদ /রকেট (ডাচ বাংলা ব্যাংক) ইত্যাদি একাউন্টে টাকা জমা রাখলে কি সুদের কাজে সাহায্য করা হবে যদিও এইসব একাউন্টে টাকা রাখলে তারা সুদ দেয় না। সুবিধাজনক স্থানে সুবিধাজনক সময়ে টাকা রিচার্জ করার জন্য বা টাকা হাতে থাকলে খরচ হয়ে যায় টাকার নিরাপত্তা ইত্যাদি কারণে এসব একাউন্টে টাকা জমা রাখা যাবে।

৩. এই সব হারাম থেকে পবিত্র থাকার কি কোন আমল আছে যেটা করলে আল্লাহ আমাকে এসব থেকে রক্ষা করবেন আমার মনের তৃপ্তি দিবেন।

৪. শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কি আমল করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (589,080 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
এ সম্পর্কে মাস'আলা আমরা উপরের ব্যখ্যা থেকেই বুঝতে পারবো।
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)

সুতরাং বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে চলাফেরা করবেন। সতর্কতামূলক পরিচিতজন বা বন্ধুবান্ধবদের নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। প্রয়োজনে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন যে, তাদের বা তাদের অভিভাবকদের ইনকাম সোর্স কি?
এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।যদি কারো ব্যাপারে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানা না যায়, তাহলে আপনি তার কাছ থেকেও গ্রহণ করতে পারবেন।কেননা মু'মিন কখনো হারাম ভক্ষণ করে না।

(২)
নগদ বিকাশে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা রাখতে পারবেন।এতেকরে সুদের কাজে সহায়তা হবে না।

(৩)
এ রকম মুবাইল ব্যাংকিং থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।তখন আর কোনো প্রকার সন্দেহ আপনার মনের ভিতর আসবে না।

(৪)
সালাতুল হাজত পড়ে দু'আ করতে পারেন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,080 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...