ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/16116 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বিয়ের কোনো বয়স নাই। বরং একেবারে শিশুকালে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানের বিয়ে দিয়ে দিতে পারবে। তবে সাবালক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কেউ নিজে নিজে বিয়ে করতে পারবে না। এবং নাবালককে বিয়ে দিলে সাবালক ও উপযোক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। উভয়ের বয়স সমান হওয়া জরুরী নয়। তবে হাদীসে বয়স সমান হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
হ্যা,বিয়ের সাক্ষীদ্বয় সাবালক হতে হবে।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين،
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সরকারি বিধানমতে নারী পুরুষের পৃথক পৃথক বিয়ের বয়স রয়েছে। এই বয়সের পূর্বে যদি কোনো নারী পুরুষের বিয়ে হয়ে যায়, তাহলে কাবিন নামায় বয়স কমিয়ে লিখা যাবে না।জায়েয হবে না।
সমস্ত মুসলমানের উপর ফরযে কেফায়া যে, বিয়ের বয়স কে ইসলামিকরণ করার আকুল আবেদন সরকারের নিকট করা।হ্যা, সাবালক হওয়ার পূর্বে স্বামীর স্ত্রীর মিলন জায়েয হবে না।