আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
১।আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর।হুজুর আমি আর আমার স্বামি জানতাম শুধু স্পষ্ট তালাকের কথা।কেনেয়া তালাকের কথা কিছুই জানতাম না।স্বামীও জানত না।কেনায়া তালাকের কথা শুনার পর থেকে শুধু মনে হচ্ছে এসব কথা কোনভাবে আমার স্বামীও বলেছে কিনা।কিছু কথা যা একটু একটু মনে ছিল তা আপনার কাছ থেকে জিগ্যেস করেছি।আলহামদুলিল্লাহ ভাল ফল পেয়েছি।কিন্তু হুজুর আর কোন কথা বলেছে কিনা আমার বা আমার স্বামীর কারো মনে নেই।বল্লেও মনে নেই,কি বলেছে তা।যা একটু একটু  মনে ছিল আপনার কাছ থেকে ক্লেয়ার হয়েছি।কিন্তু হুজুর এখন শুধু ভয় হচ্ছে আমরা তহ আর জানি না কেনায়া বাক্য ব্যবহার করেছিলাম কিনা।যদি হুজুর ব্যবহার করেও থাকি, তালাকের নিয়তেও তা যেহেতু মনে নেই কিছু তাহলে কি আমাদের গুণাহ হবে? তালাক হবে?এই বিষয়টা নিয়ে অনেক ভয় হচ্ছে।স্বামীর কাছে যেতেও ভয় লাগে।কথা বলতেও।কোন গুণাহ হচ্ছে নাত এটা ভেবে।হুজুর একটু বলবেন আমাদের করণীয়।চিন্তা করলে একটু পর পর একটা একটা মনে পড়ে।কিন্তুু জানি না তালাকের কোন উদ্দেশ্যে ছিল কিনা।স্বামীও জানে না।ওর তহ মনেও থাকে না।আমার খুব টেনশন হচ্ছে হুজুর।পুরা অসুস্থ হয়ে গেছি।যদি হুজুর কেনায়া বাক্য ব্যবহার ও করি থাকি তাহলে কি আমাদের তালাক হবে? আসলে জানি না ব্যবহার করেছি কিনা,করলেও নিয়ত ছিল কিনা।আমাদের কি না জেনে যিনা হবে?

২।হুজুর আরেকটা প্রশ্ন ছিল।দুইজন সাক্ষী ছাড়া তহ বিয়ে হয় না।কিন্তুু কোন সাক্ষী ছাড়া, মোহরানা ছাড়া মোবাইলে   এস এম এসের  মাধ্যমে কবুল বললে বিয়ে হবে?।তারপর তালাক দিলে সেটি কি তালাক হবে?কারণ হুজুর সেই তালাকের পর আমরা আবার শরীয়ত মোতাবেক সাক্ষী নিয়ে বিয়ে করি এবং মোহরনাও নির্ধারন করি।তাই হুজুর, আগের তালাক টা কি তালাক হবে? স্বামী  কি এখনও ৩ তালাকের মালিক আছ?

৩।হুজুর স্বামী যদি মাঝে  মাঝে ফোনে না পেলে বা এমনিতে  রাগ করে বলে কল  দিও না বা অভিমান করে বলে কল  দিব না। এতে কি কোন সমস্যা হবে? ঠিকি এর পর আবার স্বামি নিজে দেয়।এতে সমস্যা হবে?এতে কি তালাক হবে?অনেক আগের কথা তহ।একটু একটু মনে আছে।তবে হে মাঝে মাঝে কলে না পেলে বলে কল দিব না,বিরক্ত করি তহ আর করব না বিরক্ত।আসলে অভিমান করে বলে যে।স্বামী কয়েকবার বলেছে যে সে তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি কোন দিন।আমার ভয়,হই হুজুর।কোন যিনা হচ্ছে নাত ভেবে।

৪।আমি পড়লে আমাকে স্বামীর বাসা ছেড়ে থাকতে হবে।তাই স্বামী বলেছিল পড়তে হবে না।তবু বার বার  আমি বললে সে বলে আমার শিক্ষিত বউ লাগবে না।আসলে আমাকে লাগবে না সেটা বুঝায়নি।মানে তার বেশি  শিক্ষিত বউ লাগবে না সেটা বুঝিয়েছে।এরপর আর কি বলেছে মনে নেই।আমরা কেনায়া শব্দে তালাক হয় সেটা জানতাম না।তাই স্বামীকে বার বার জিগ্যেস করেছি।তখন বলেছিল সে কোনদিন তালাকের উদ্দেশ্যে কিছু বলে নি।শপথ করে বলেছিল।তার ও মনে নেই আদৌ কি কি বলেছে।বলছে আর এইসব বিষয়ে জিগ্যেস করিও না।বিরক্ত করে ফেলছ।তাই এই কথা আর জিগ্যেস করি নি।কারণ তিনি বার বার বলেছিল তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি।তার মনেও নাই কি বলেছে।আমার এইটা মনে আছে।কিন্তুু তালাকের উদ্দেশ্যে বলেছিল কিনা জানি না।মনে হচ্ছে তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি।তালাকের মজলিস ছিল কিনাও জানি না।আগের কথা তাই।ওনার কিছুই মনে নি।এখন হুজুর আমাদের কি তালাক হবে? খুব ভয় হচ্ছে।আমার বার বার এই বিষয়ে টেনশন চলে আসে।

হুজুর পরিশেষে বলতে চাই।কেনায়া তালাকের ব্যপারে শুনার পর থেকে বার বার মনে হচ্ছে আমার স্বামী বলেছে।কিন্তু আমি আর স্বামি স্ত্রী কেও জানি না কেনায়া বাক্য ইউস করেছি কিনা।করলেও জানি না মনে নেই।কয়বার বলেছে সেটাও জানি না।এই অবস্হায় যদি কেনায়া বাক্য ব্যবহার করেও থাকি আমাদের কি জিনা হবে? আসলে জানি না আমরা কি বলেছি।নিয়ত ছিল কিনা সেটাও জানি না।সারাজীবন কি যিনার গুণাহ লিখা হবে?
by
হুজুর আমার খুব কষ্ট হয় কেনায়া তালাক হয়েছে কিনা সেটা ভেবে।বার বার  মনে করার চেষ্টা করি স্বামী কি কি বলেছিল,তখন অসুস্থ হয়ে পড়ি।মনে পড়ে না।স্বামীও বলেছিল তার মনে নেই।হুজুর আমি যদি মনে করার চেষ্টা না করি, আর যদি কেনায়া তালাক হয়েও থাকে আমাদের কি যিনা হবে? কোন যিনা হবে কিনা এটা ভেবে চিন্তা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ি।ঘুম,পড়াশুনা,খাওয়া সব উঠে গেছে।ঘুমাইলে চমকে ওঠে যায়।

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যদি আপনাদের মধ্যকার কখনো তালাকের নিয়তে কেনায়া তালাক হয়েও থাকে,কিন্তু এখন স্বরণে না থাকে, তাহলে আপনাদের মধ্যকার এখন আর কোনো তালাক পতিত হবে না।

(২)
এসএমএস এ যদি কেউ কাউকে বলে যে, আমাকে বিয়ে করো, এবং অপরজন মেসেজ পড়ে বলে আমি অমুককে বিয়ে করলাম, কিন্তু পাশে দুইজন সাক্ষী না থাকে, তাহলে বিয়েই হবে না।হ্যা, সাক্ষী থাকলে অবশ্যই বিয়ে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...