যাকাত ইসলামের একটি অপরিহার্য ইবাদত। এজন্য শুধু মুসলিমগণই যাকাত আদায়ের জন্য সম্বোধিত হন। সুস্থমস্তিষ্ক, আযাদ, বালেগ মুসলমান নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে যাকাত আদায় করা তার ওপর ফরয হয়ে যায়।
কাফির যেহেতু ইবাদতের যোগ্যতা রাখে না তাই তাদের ওপর যাকাত আসে না।
এছাড়া অসুস্থমস্তিষ্ক মুসলিমের ওপর এবং নাবালেগ শিশু-কিশোরের ওপরও যাকাত ফরয নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عباس قال: لا یجب علی مال الصغیر زکاۃ حتی تجب علیہ الصلاۃ ۔ (سنن الدار قطنی ۲؍۹۷ رقم: ۱۹۶۲)
সারমর্মঃ
ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন শিশুর উপর যাকাত নেই,তার উপর নামাজ ফরজ হওয়ার আগ পর্যন্ত যাকাত নেই।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ "
মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া কুতা‘ঈ (রহঃ) ...... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে দন্ডবিধি রহিত করে দেওয়া হয়েছে, ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, শিশু যতক্ষন না সাবালক হয়, বেহুশ ব্যক্তি যতক্ষণ না তার হুশ ফিরে এসেছে। - ইবনু মাজাহ ২০৪১, ২০৪২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ومنہا العقل والبلوغ فلیس الزکوٰۃ علی صبي ومجنون ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۱۷۲)
সারমর্মঃ
তার শর্ত গুলির মধ্য হতে জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া,বালেগ হওয়া।
সুতরাং শিশু,পাগলের উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
ومنہا البلوغ عندنا فلا تجب علی الصبي، وہو قول علي وابن عباسؓ فإنہما قالا : لا تجب الزکاۃ علی الصبي حتی تجب علیہ الصلاۃ ۔ (بدائع الصنائع، شرائط فرضیۃ الزکاۃ ۲؍۷۹ زکریا)
সারমর্মঃ
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত গুলির মধ্য হতে জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া,বালেগ হওয়া।
সুতরাং শিশু,পাগলের উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
وشرط افتراضہا عقل وبلوغ فلا تجب علی مجنون وصبي۔ (درمختار مع الشامي ۲؍۱۷۳ زکریا)