বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের খাওয়ার জন্য পশু শিকার করা বৈধ।
বাঘ যেহেতু খাওয়া যায়না,তাই তাকে শিকার করা যাবেনা।
তদুপরি এখানে বাঘকে শিকার করতে গিয়ে নিজের জানকে মৃত্যুর মুখে ছেড়ে দিতে হয় ,তাই এহেন রিক্স নেওয়া জায়েজ নেই।
,
তবে এলাকাকে হিংস্র প্রাণি হিংস্রতা থেকে বাঁচানোর জন্য তাহা শিকার করে মেলে ফেলা যাবে।
(০২)
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে।
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি।
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। যে বিষয়ে যতটুকু কমতি আছে তাতে ততটুকু কমতির কথাই বলা উচিত। বাড়াবাড়ি করে বিদআতকে শিরক বলে দেওয়া অথবা তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন।
আল্লাহর কাছে সবচে’ ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ হল শিরক। কুরআন মাজীদে পুত্রের প্রতি লুকমান হাকীমের ওসিয়তগুলো বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে তিনি নিজ পুত্রকে ওসিয়ত করে বলেন-
وَ اِذْ قَالَ لُقْمٰنُ لِابْنِهٖ وَ هُوَ یَعِظُهٗ یٰبُنَیَّ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِیْمٌ.
স্মরণ কর, যখন লুকমান উপদেশচ্ছলে নিজ পুত্রকে বলেছিল, বৎস! তুমি আল্লাহ্র সাথে শরীক করো না। কেননা র্শিক নিশ্চয় মারাত্মক অবিচার ও পাপ। -সূরা লুকমান (৩১) : ১৩
আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এতে শিরক হবেনা।
(০৩)
এখানে শিরক খোজার প্রয়োজনীয়তা নেই।
ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহত সাথে যেনো কাউকে শরীক করা না হয়,সেদিকে গুরুত্ব দিবেন।
,
(০৪)
আল্লাহ হলেন সৃষ্টিকর্তা,আর নাম তো নাম।
এ দুটো সমান নয়।
আমরা আল্লাহর ইবাদত করি।
তার নামের নয়।
,
(০৫)
এই মনোভাব শিরক নয়।
,
(০৬)
এতে শিরক হবেনা।
(০৭)
এটি শিরক নয়।
তবে জিম করতে গিয়ে কোনো গুনাহ বা শিরক হলে জিম করবেননা।
,
(০৮)
সে তওবা করে কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করলেই হবে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেওয়া লাগবেনা।
(০৯)
আপনি শুধু মনে মনে কল্পনা করেছেন মাত্র,বাস্তবে করেননি।
তাই এখানে কোনো শিরকই হবেনা।
,
(১০)
বিষয়টি আল্লাহর ইচ্ছাধীন।
তিনি চাইলে কবুল করতে পারেন।
(১১)
নামাজের মধ্যে বড় শিরক হওয়ার মতো কাজ হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
আর ছোট শিরক যেমন রিয়া,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
শিরক এর চিন্তা আসার দ্বারা নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
এতে নামাজ ভেঙ্গে দিতেও হবেনা।
আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে ঐ নামাজই চালিয়ে যাবেন।
(১২)
না,এতে শিরক হবেনা।
,
(১৩)
এতে শিরক হবেনা।
তবে উক্ত কাজ করতে গেলে শিরক বা গুনাহ হলে সেই কাজ করা যাবেনা।