আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
মুফতি ইমদাদুল হক হুজুরের কাছে জানতে চাই।
আসসালামু আলাইকুম হুজুর৷ অপরাধ নিবেন না দয়া করে।
১।অপরাধ মাফ করবেন হুজুর। গুগলে সার্চ করার জন্য লিখেছিলাম,তালাকের ব্যাপারে।  কিন্তু পুরো বাক্যটা লিখিনি, অর্ধেক লিখে কেটে দিয়েছিলাম। লিখতে চেয়েছিলাম "তালাকের সন্দেহ করলে তা*** পতিত হয় কিনা?" কিন্তু এই বাক্যটা আমি পুরো লিখিনি শুধু লিখেছি যে," তালাকের সন্দেহ করলে তা***.......  তারপর আর কিছু লিখিনি মানে পতিত হবে কিনা এই কথা টা লিখিনি। না লিখেই কেটে দিয়েছি, ভেবেছিলাম সার্চ না করি এইসব। তাই পুরো বাক্য লিখিনি মনে হচ্ছে.। প্রশ্ন হচ্ছে অর্ধেক লিখার কারণে কোন সমস্যা হবে কিনা? অর্ধেক বাক্যটা কোন শর্ত হয়ে যাবে কিনা?? মানে এমন শর্ত দেওয়া হয়ে যাবে নাতো যে আমি তালাকের সন্দেহ করলেই তা**** পতিত হবে???আমিতো কথাটা গুগলে সার্চ করার জন্য লিখতে চেয়েছিলাম কোন শর্ত  দেওয়ার নিয়তে বলিনি। সন্দেহ হচ্ছে অর্ধেক লিখেছিলাম নাকি পুরোটাই লিখেছিলাম।  একবার মনে হচ্ছে অর্ধেক লিখেছি আবার মনে হচ্ছে পুরোটাই লিখেছিলাম।

২। দয়া করে উত্তর দেন হুজুর। আপনার কাছে অর্ধেক বাক্যটা লিখে আবার ভয় হচ্ছে আমি কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে ফেললাম নাকি? কারন সেসময় আমি অর্ধেক লিখেছি নাকি পুরোটা লিখেছি এইটা আমি সিউর না। সন্দেহ হচ্ছে। এখন সার্চ করার সময়  লিখার সময় অর্ধেক না লিখেও ১ নাম্বার প্রশ্ন করার সময় বললাম যে অর্ধেক লিখেছিলাম, এজন্য সমস্যা হবে না তো? মানে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে কিনা?

দয়া করে আমাকে চিন্তামুক্ত হতে সাহায্য করেন। মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না তো আপনার কাছে প্রশ্ন করার সময় বলার জন্য?  বা যদি অর্ধেক বাক্য বলে থাকতাম তাহলে কি কোন শর্ত হয়ে যেত? আমিতো শর্ত দেওয়ার নিয়তে লিখিনি৷ সার্চ করতে গিয়ে লিখতে গিয়ে কেটে দিয়েছি লিখা টা।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার কথার কিছুই বুঝতেছিনা।আপনি আমাকে কল দিবেন।প্রুফাইলে নাম্বার দেয়া আছে।বা অফিস থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে কল দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...