জবাবঃ-
মাহরাম সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।(সূরা আন-নূর-৩১)
কুরাআন হাদীসে যে সমস্ত কারণে নারীপুরুষদের মধ্যে মাহরামের সম্পর্ক সাব্যস্ত করা হয়েছে।এবং এর আলোকে যে চৌদ্দজন পুরুষ মহিলাকে মাহরাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।এই চৌদ্দজন মাহরামের মধ্যে আপনার বর্ণনাকৃত ব্যক্তিটি নেই।সুতরাং তিনি মাহরাম হবেন না।সৎ মা,তিনি বাবার স্ত্রী হওয়ার কারণে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত।কিন্তু সৎ মায়ের পূর্ব স্বামীর মেয়ে সন্তানের সাথে উক্ত সৎ ছেলের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই।বিধায় তারা পরস্পর মাহরাম হবে না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( وَأُحِلَّ لَكُمْ مَا وَرَاءَ ذَلِكُمْ )
উপরে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্যদেরকে বিয়ে করতে কোনো বিধিনিষেধ নেই।(সূরা নিসা-২৪)
বিস্তারিত জানিন-২৭২২