ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك.
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما.
(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, উক্ত ব্যক্তির জুলুম নির্যাতন থেকে বাঁচতে উক্ত ব্যক্তির কর্মপদ্ধতি ও অপতৎপরতা সম্পর্কে আলোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।
(২)
জ্বী, সওয়াব পাওয়া যাবে।তবে এশার পর ঘুমানোর পূর্বেই পড়া উত্তম।
(৩)
না, ঈমান ভঙ্গ হবে না।তবে গোনাহ হবে।
(৪)
বসে বসে নামায পড়বেন।
(৫)
সিজদা হবে, তবে মুস্তাহাব ত্বরিকায় হবে না।
(৬)
নেককারদের সংস্পর্শ গ্রহণ করতে হবে।