বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ নাম উল্লেখ পূর্বক কেউ কোনো কসম বা শপথ করলে তার অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে।
https://www.ifatwa.info/1808 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
গোনাহের কাজ না করার কসম করার পর যদি সেই গোনাহের কাজ করা হয়, তাহলে কাফফারা দিতে হবে। যেহেতু কসমটি গোনাহের কাজ না করার জন্যই করা হচ্ছে, তাই কসম পূর্ণ না করা হলে, কসম পূর্ণ না করার গোনাহ একবারই হবে।তবে গোনাহের কাজ করার জন্য ধারাবাহিক গোনাহ হতেই থাকবে। যতবার গোনাহের কাজ করা হবে, ততবারই গোনাহ হবে।
সামর্থ্য না থাকলে রোযা দ্বারা কাফফারা আদায় করা যাবে।