উল্লেখিত হাদীসটি হলোঃ
عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ وَإِذَا كَبَّرَ لِلرُّكُوعِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَه مِنْ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا كَذلِكَ وَقَالَ سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَه رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَكَانَ لَا يَفْعَلُ ذلِكَ فِي السُّجُودِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) শুরু করার সময় দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। আবার রুকূ‘তে যাবার তাকবীরে ও রুকূ‘ হতে উঠার সময় ‘‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- ওয়ালাকাল হামদু’’ বলেও দু’ হাত একইভাবে উঠাতেন। কিন্তু সাজদার সময় এরূপ করতেন না।
হাদীসের হুকুমঃ সহীহ।
(বুখারী ৭৩৫, নাসায়ী ১০৫৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৮৬১, দারেমী ১২৮৫, মিশকাতুল মাসাবিহ ৭৯৩)
★যে সমস্ত ইসলামী স্কলারগন রফয়ে ইয়াদাইন এর পক্ষে মত পেশ করেন,তারা বলেন যে এ হাদীসটি স্পষ্ট দলীল যে, উল্লিখিত তিন স্থানে দু’ হাত উঠানো সুন্নাত।
সুতরাং মুসলিম জাতির জন্য সুন্নাহ হলো যে, যখন সে রুকূ‘তে যাবে তখন দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে এবং যখন রুকূ‘ থেকে উঠবে তখনও দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাফয়ে ইয়াদাইন এর ক্ষেত্রে তিন রকমের হাদীস এসেছেঃ
,
(০১)
তাকবিরে তাহরিমা বাধা,রুকুতে যাওয়ার আগে তাকবির বলে,রুকু থেকে উঠার পর তাকবির বলে হাত উঠানো।
(০২)
তাকবিরে তাহরিমা বাধা,রুকুতে যাওয়ার আগে তাকবির বলে,রুকু থেকে উঠার পর,
তাকবির বলে,সেজদাতে যাওয়ার সময় তাকবির বলে, এবং সেজদা থেকে উঠার সময় তাকবির বলে হাত উঠানো।
(০৩)
শুধু মাত্র নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় হাত উঠানো।
বাকি সময় আর না উঠানো।
ফিক্বহে হানাফী মতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকি সময় হাত উঠানো এবং সূরা ফাতিহার পর জোরে আমীন বলা উত্তম নয়। এ বক্তব্যটিও সহীহ হাদীস এবং সাহাবাদের ফাতওয়া এবং বিজ্ঞ ব্যক্তিদের আমলের সূত্র পরম্পরায় আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাই এটি আমাদের নিকট উত্তম।
,
আবার অন্য ফকীহ,এবং কিছু ইসলামি স্কলারগন এর বিপরীত মত পোষণ করেন। এক্ষেত্রে এই পার্থক্যটুকু শুধু সুন্নাহ আদায়ের উত্তম ও অনুত্তম পদ্ধতি নিয়ে।
অর্থ্যাৎ চার মাযহাবই এ বিষয়ে একমত যে, রাফয়ে’ ইয়াদাইন করা হোক বা না হোক; এতে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না।
★সুতরাং হানাফি মাযহাবের অনুসারী গন শুধুমাত্র তাকবিরে তাহরিমা বলার সময়েই হাত উঠাবে।