আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
266 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
closed by
১/কম্পিউটারের দোকান ওয়ালা এক ভাই আমাকে বলছিলো, ❝কোন আবেদন করতে হলে আমার থেকে কোরো/প্রিন্ট দিও❞। আমার আবার অন্যের কথার রেসপন্স হিসেবে আচ্ছা" বলার অভ্যাস আছে। আমি তার কথায় ❝আচ্ছা❞ বলি (এইটা বলার সময় আমি অতটা হিসাব করিনি)।এই ❝আচ্ছা❞র দ্বারা কি আমি তাকে কথা/ওয়াদা দিয়ে ফেললাম?
২/ওই ভাইকে অন্য একদিন বলছিলাম(তার নিকট দায়বদ্ধ হয়ে পড়ার ভয়ে),❝কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করলে আপনি প্রথম বিবেচনায় / প্রথম চয়েসে থাকবেন❞। এই কথা বলার পর আমার সুযোগ-সুবিধা মত স্বাধীনভাবে অন্য যেকোন স্থান থেকে তো আমি কাজ করতে পারবো?

৩/উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্রে তার সাথে কথা বলে আমার কথা ফেরত নিতে পারবো কি?
closed

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
মুমিন চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ওয়াদা রক্ষা করা। ওয়াদা রক্ষা করা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমার সঙ্গে করা ওয়াদা তোমরা পূর্ণ কর। আমিও তোমাদের সঙ্গে করা ওয়াদা পূর্ণ করব। আর আমাকেই ভয় কর।’ (সূরা বাকারা : ৪০)। 

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ এবং পরস্পরের সঙ্গে করা ওয়াদা পূর্ণ কর। আর আল্লাহকে সাক্ষী রেখে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ কর না।’ (সূরা নাহল : ৯১)।

 নবী-রসুলরা ছিলেন ওয়াদা রক্ষাকারী সত্যনিষ্ঠ মহামানব। হজরত ইসমাইল (আ.) সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এ কিতাবে স্মরণ কর ইসমাইলের কথা। সে ছিল ওয়াদা রক্ষাকারী সত্যনিষ্ঠ নবী এবং রসুল।’ (সূরা মারয়াম : ৫৪)। 

হাদীস শরীফে এসেছে  

عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( آية المنافق ثلاث إذا حدث كذب وإذا وعد أخلف وإذا اؤتمن خان 

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি। যথা- যখন সে কথা বলে তখন মিথ্যা বলে, আর যখন ওয়াদা করে তখন তা পূর্ণ করে না, আর যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, তখন সে তা আত্মসাৎ করে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৫৩৬, ৩৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১০৭}

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই ওয়াদা হবেনা।
এটি স্বাভাবিক ভাবে মানুষ  একাবারে নিষেধ না করে এমনিতেই আচ্ছা বলেই থাকে। 
এটিকে উভয় পক্ষই স্বাভাবিক হিসেবে দেখে,কেউ ওয়াদা হিসেবে মনে করেনা।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ওয়াদা নয়। 
    
(০২)
আপনি আপনার সুযোগ-সুবিধা মত স্বাধীনভাবে অন্য যেকোন স্থান থেকে কাজ করতে পারবেন।

(০৩)
এটি যেহেতু ওয়াদা নয়,তাই কথা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।
(যদি একেবারে কথা দেওয়া হতো,তাহলে তাকে বিষয়টি বলে নিলেই হয়ে যেতো।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (42 points)
জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...