আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (75 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,

ইমতিয়াজ, নরসিংদী

*যাকাত সংক্রান্ত মাসআলা*

কাউকে কম্পিউটার কেনার জন্য তার বাবা বা চাচা

৬০ হাজার টাকা হাদীয়া দিল; যা নিসাব পরিমাণ!

এবং এই টাকা দিয়ে কম্পিউটার কিনে নিল।

(হাদীয়া পাওয়ার তারিখ: ১ শাওয়াল ১৪৪১ হিজরী)

এই টাকা হাদীয়া পাওয়ার পর সে নিসাবের মালিক হওয়ার দরুন কি যাকাত তার উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে?

ধরুন, ঐ একই ছেলে ঐ প্রাপ্ত টাকা দিয়ে কম্পিউটার কিনে নিল, এক বছর হওয়ার আগে কম্পিউটারটি নষ্ট হয়ে গেল, তখন যেদিন এক চন্দ্রবছর পূর্ণ হলো ঐদিন (১ শাওয়াল ১৪৪২ হিজরী) আবার তাকে হাদীয়া দিল ৬০ হাজার টাকা নতুন কম্পিউটার কেনার জন্য!
এদিন কি তাকে ৬০ হাজার থেকে ২.৫% যাকাত দিতে হবে?

হুজুর, একটু বিস্তারিত আলোচনা করলে উপকৃত হতাম ইন শা আল্লাহ।

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,

قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : إذَا بَلَغَ الْمَالُ مِئَتَيْ دِرْهَمٍ ، فَفِيهِ خَمْسَةُ دَرَاهِمَ

‘সম্পদ যখন দুইশ দেরহামে পৌঁছবে তখন তার উপর পাঁচ দেরহাম যাকাত ফরজ হবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ৯৯৩৬]

আলী (রা.) বলেন-

عَنْ عَلِيٍّ ، قَالَ : لَيْسَ فِي أَقَلَّ مِنْ عِشْرِينَ دِينَارًا شَيْءٌ ، وَفِي عِشْرِينَ دِينَارًا نِصْفُ دِينَارٍ ، وَفِي أَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارٌ ، فَمَا زَادَ فَبِالْحِسَابِ

‘বিশ দীনারের নিচে কোনো যাকাত অপরিহার্য হয় না। বিশ দীনারে অর্ধ দীনার এবং চল্লিশ দীনারে এক দীনার অপরিহার্য হবে। এর বেশি যা থাকবে তা এই হিসাবেই অপরিহার্য হবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ৯৯৬৬]

عَنْ أَبِىْ ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ رَجُلٍ تَكُوْنُ لَهُ إِبِلٌ أَوْ بَقَرٌ أَوْ غَنَمٌ لاَ يُؤَدِّى حَقَّهَا إِلاَّ أُتِىَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا تَكُوْنُ وَأَسْمَنَهُ، تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، وَتَنْطَحُهُ بِقُرُوْنِهَا، كُلَّمَا جَازَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُوْلاَهَا، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ-

আবূ যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক উট, গরু ও ছাগলের অধিকারী ব্যক্তি যে তার যাকাত আদায় করবে না, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে আনা হবে বিরাটকায় ও অতি মোটাতাজা অবস্থায়। তারা দলে দলে তাকে মাড়াতে থাকবে তাদের ক্ষুর দ্বারা এবং মারতে থাকবে তাদের শিং দ্বারা। যখনই তাদের শেষ দল অতিক্রম করবে, পুনরায় প্রথম দল এসে তার সাথে এরূপ করতে থাকবে, যাবৎ না মানুষের বিচার ফায়ছালা শেষ হয়ে যায়।
(বুখারী হা/১৪৬০; মুসলিম হা/৯৯০; মিশকাত হা/১৭৭৫।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
সব ধরনের জিনিসেই যাকাত ফরজ হয় না। সকল জিনিস যাকাতের নেসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না। বরং নির্দিষ্ট কিছু জিনিসের ক্ষেত্রেই যাকাত ফরজ হয়। সেগুলো হলো, স্বর্ণ-রূপা, টাকা-পয়সা, ব্যবসায়ী পণ্য। এবং কিছু কিছু পশুর ক্ষেত্রেও তার নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী যাকাত ফরজ হয়।
এক্ষেত্রে সেই নির্ধারিত বস্তু নেসাব পরিমান হওয়ার পর যদি তা দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,এবং তার উপর যদি এক বছর পূর্ণ হয়,তবেই তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
নতুবা নয়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই যাকাত ফরজ হবেনা।
১ম ছুরতে যেহেতু সেই টাকা দিয়ে কম্পিউটার ক্রয় করা হয়েছে,আর কম্পিউটারের উপর যাকাত নেই।
তাই এক্ষেত্রে যাকাত ফরজ হবেনা।
,
আর ২য় ছুরতে, সেই টাকার মালিক হওয়ার পর বছর নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হওয়ার বছর কেবলমাত্র শুরু হলো।     
এই টাকা যদি এভাবেই আরো এক বছর থাকে,তাহলে আপনার উপর পরবর্তী বছর একই দিনে যাকাত ফরজ হবে।   
     
যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত  জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (75 points)
হুজুর, প্রথম সুরতে তো সে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিসাব এর মালিক ছিল, এবং বছর শেষে আবার নিসাবের মালিক হয়ে গেল, এখানে কি যাকাত আসবে না?
by (574,260 points)
এখানে তাকে কম্পিউটার ক্রয়ের জন্য তার বাবা মা তাকে এই টাকা দিয়েছে,আর সে কম্পিউটার ক্রয়ও করেছে।
সুতরাং এটি প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত টাকা ধরা হবে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়।
,
আর এখানে বছর শেষ বলতে রমজানের শেষ দিন গুলো ধর্তব্য।
সেই হিসেবে বছর পূর্ণ হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...