জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
বিবাহের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো আগে উভয়ের, উভয় পরিবারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়া।
তাতে এগোনোর মতো হলে পাত্র পক্ষ হতে মহিলা সদস্য মেয়েকে দেখা।
তাতে এগোনোর মতো হলে সরাসরি পাত্রের দেখা।
,
প্রয়োজনীয় বিষয়াদী সম্পর্কে অবগত না হয়ে আগেই পাত্র পাত্রীর দেখার ব্যবস্থা করা উচিত নয়।
কেননা এক্ষেত্রে ৩য় কোনো কারনে বিবাহ না হলে পাত্র পাত্রীর দেখার বিষয়টি মুল্যহীন হয়ে দাড়ায়।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ওযরটি আগে থেকেই জানা বিষয় ছিলো।
তারপরেও শেষ না ভেবে এই বিবাহে এগিয়ে যাওয়া অনার্থক হয়েছে।
তদুপরি প্রশ্নে উল্লেখিত চিন্তা থেকে, আপনি দূরের প্রোপোজাল রিজেক্ট করতে পারবেন।
এতে সমস্যা নেই।
তবে পাত্র ও পাত্র পক্ষকে কষ্ট দেয়া হবে।
কাছের যেখানেই বিবাহ করুন,তাতে কুফুর সামঞ্জস্যতা রেখে বিবাহ করবেন।
কেননা রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)