উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো স্বামীর বৈধ কাজের আদেশ মানতে হবে।
স্বামীর সাথে কখনো বেয়াদবি করা যাবেনা,শক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
তবে তারা যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজের হুকুম করে,তাহলে সেটা মানা যাবেনা।
স্বামীকে সার্বদায় সম্মান করতে হবে,সেইভাবেই তার সাথে কথা বলতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لأَحَدٍ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَسُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى وَطَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَأَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যদি কাউকে অন্য কোন লোকের প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। – তিরমিজি ১১৫৯ হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৮৫৩)
মুআয ইবনু জাবাল, সুরাকা ইবনু মালিক ইবনু জুশুম, আইশা, ইবনু আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা, তালক ইবনু আলী, উম্মু সালামা, আনাস ও ইবনু উমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখিত সনদ সূত্রে হাসান গারীব
,
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتَأْتِهِ وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
তলক ইবনু আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোক তার স্ত্রীকে নিজ প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে ডাকলে সে যেন সাথে সাথে তার নিকট আসে, এমনকি সে চুলার উপর রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও।
তিরমিযি ১১৬০
,
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبِي نَصْرٍ، عَنْ مُسَاوِرٍ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الْجَنَّةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন নারী তার স্বামীকে খুশী রেখে মারা যায় সে জান্নাতে যাবে। - তিরমিজি ১১৬১ , ইবনু মাজাহ ১৮৫৪)
,
শরীয়তের পরিভাষায় যে আপনার স্বামী মুনাফিক বলে সাব্যস্ত হয়েছে,এটার তো আপনি শতভাগ শিউর নন।
কারন কাহারো উপর এই রকম হুকুম লাগানো অনেক কঠিন।
ইসলামে এর কঠোর ভাবে নিষেধ এসেছে।
,
আর যদি সত্যিকার অর্থেই আপনার স্বামী মুনাফিক হয়েই থাকে,তারপরেও তার সাথে ভালো আচরন করতে হবে।
কটু কথা বলা ঠিক হবেনা।
,
আপনি তাকে হেকমতের সাথে আস্তে ধিরে বুঝাতে থাকবেন।
তাকে ভালো মানুষদের সাথে চলাফেরা করার ব্যবস্থা করে দিন।
তাকে পুরোপুরি দ্বীনের পথে আনার যা যা চেষ্টা করার দরকার,আস্তে ধিরে চেষ্টা করে যান।
ইনশাআল্লাহ আপনি কামিয়াব হবেন।