আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)

আসসালামু আলাইকুম, আমার কিছু প্রশ্ন আছে:
১. বলা হয়ে থাকে, মা বাবাই নাকি সন্তানের বেহেশত। কিন্তু  সেই মা বাবাই যদি সন্তানের উপর জুলুম করে বরং অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নিজের  সন্তানকে হত্যা করার চেষ্টা করে, সন্তান যদি কোনো ক্রমে বেঁচে যায়, তখন বাবা মায়ের প্রতি তার একটুও ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকবে না। এমন অবস্থায় সন্তানের করণীয় কি? যদি সে তার পিতা মাতার কাজের কারণে তাদের জন্য দোয়া না করে বা তাদের ঘৃণা করে, তাদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য তাদের ছেড়ে চলে যায় তবে কি সন্তানের গুণাহ হবে? বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে।
২. নামাজে মনোযোগ না আসলে আমার করণীয় কি?
৩. জেনারেল লাইনে শিক্ষিতরা কি কুরআন হাদীস পড়তে পারবে?
৪. ইউটিউবে ইসলামিক ভিডিও দেখার জন্য ইউটিবউবে ঢুকলাম, এমন অবস্থায় সামনে খারাপ ভিডিওর হারাম থাম্বনেইল আমি যদি ভুলেতে দেখে ফেলি, তবে আমার কি গুণাহ হবে? এগুলো এড়াতে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতাপিতার সাথে সর্বদাই সদ্ব্যবহার করতে হবে। মাতাপিতা জুলুম নির্যাতন করলেও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। হ্যা, তাদের জুলুম নির্যাতন থেকে বাঁচতে নিরবে তাদের নিকট থেকে দূরে অবস্থান করা যাবে।তাদের সাথে সম্পর্ককে দূরে নেয়া যাবে,এতে গোনাহ হবে না। তবে তাদের সাথে মন্দ বা খারাপ কোনো ব্যবহার করা যাবে না।

(২)
আপনি নেককারদের সাথী হোন, দেখবেন! নামাযে মজা পাইবেন।

(৩)
জেনারেল লাইনে শিক্ষিতরাও কুরআন হাদীস পড়তে পারবে।তবে নিজে নিজে পড়াটা নিরাপদ হবে না।বরং একজন বিশুদ্ধ আকিদা সম্পন্ন বিশেষজ্ঞর তত্বাবধানে কুরআন-হাদীস পড়াটাই নিরাপদ হবে।

(৪)
হঠাৎ খারাপ বা অশ্লীল থাম্বেইন চলে আসলে সাথে সাথেই চোখকে ফিরিয়ে নিতে হবে। বারংবার দৃষ্টি দিলে বা উপভোগ করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 94 views
...