ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)
অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতাপিতার সাথে সর্বদাই সদ্ব্যবহার করতে হবে। মাতাপিতা জুলুম নির্যাতন করলেও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। হ্যা, তাদের জুলুম নির্যাতন থেকে বাঁচতে নিরবে তাদের নিকট থেকে দূরে অবস্থান করা যাবে।তাদের সাথে সম্পর্ককে দূরে নেয়া যাবে,এতে গোনাহ হবে না। তবে তাদের সাথে মন্দ বা খারাপ কোনো ব্যবহার করা যাবে না।
(২)
আপনি নেককারদের সাথী হোন, দেখবেন! নামাযে মজা পাইবেন।
(৩)
জেনারেল লাইনে শিক্ষিতরাও কুরআন হাদীস পড়তে পারবে।তবে নিজে নিজে পড়াটা নিরাপদ হবে না।বরং একজন বিশুদ্ধ আকিদা সম্পন্ন বিশেষজ্ঞর তত্বাবধানে কুরআন-হাদীস পড়াটাই নিরাপদ হবে।
(৪)
হঠাৎ খারাপ বা অশ্লীল থাম্বেইন চলে আসলে সাথে সাথেই চোখকে ফিরিয়ে নিতে হবে। বারংবার দৃষ্টি দিলে বা উপভোগ করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।