আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
সসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্
আমি,. নিয়মিত  সালাত আদায়ের চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু মাস যাবত মাঝেমধ্যেই এমন হচ্ছে যে  আমার ফজর আর এশার নামাজ ছুটে যাচ্ছে।  মানে আদায় করতে চেয়েও করতে পারছিনা।  প্রায় সময় এশার ওয়াক্তের শুরুতে জরুরি কাজ পরে যাওয়ায় আমি ভাবি যে ফজরের কিছুক্ষণ আগে উঠে পড়ে নিবো, তাহলে ফজরের নামাজ ও পরে আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু আমি দেরতে ঘুমানোর ফলে এশার নামাজেও উঠতে পারিনা, ফজরেও উঠতে পারিনা। ২ সময়  alarm দেই তারপরেও উঠমে পারিনা।  সকালে উঠে যখন দেখি ২ টা ওয়াক্তর নামাজ মিস গেছে,  তখন খুব আফসোস করি আল্লাহ কে  অনেক নারাজ করে দিলাম, ইমান কে আরো হালকা করে দিলাম খুব সস্তা লাগে নিজেকে। হীনমন্যতায় ভুগি। কারণ বাকী ওয়াক্তের নামাজ সময়ের মধ্যে আর মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি সাধ্যমতো।  বুজতে পারছি এটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা আর আমার অবহেলা।  কিন্তু আমি খুব করে চাই  যে আমি যেনো ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারি নিয়মিত।
১. এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি..?

২. আগের রাতের এশা আর ফজর এর নামাজ যে হোলোনা সেটা কি পরেরদিন সকালে পড়ে নিতে হবে ২ টা নামাজ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামায দ্বীনের খুটি। এ অর্থ সম্ভলিত যে সব হাদীস রয়েছে, তার কোনো কোনোটি দুর্বল।

রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মনযোগ সহকারে নামায পড়ার জন্য আপনি আল্লাহ ওয়ালা কোনো আলেমর তথা কোনো বুজুর্গের  সংস্পর্শে যান। উনার সাথে কয়েকদিন উঠাবসা করুন।ইনশা'আল্লাহ! আপনার আমল ঠিক হয়ে যাবে।

যতগুলো নামায পড়া হয়নি , কা'যা হয়েছে, সেই সবগুলি নামাযকে পড়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...