بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
একাধিক বিয়ে করা সুন্নাত নয় বরং তা প্রয়োজনের স্বার্থে
শর্ত স্বাপেক্ষে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কারণ দুনিয়ার সকল মানুষের প্রয়োজন ও সমস্যা এক
রকম নয়। তবে ইসলামে এর সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তা হল, ২ অথবা ৩ অথবা ৪। ইসলামের আগে এর কোন সীমা-সংখ্যা
ছিল না।
ইসলামে বিবাহের ব্যাপারে মৌলিক বিধান হল, সামর্থ্য থাকলে পুরুষ একাধিক বিবাহ করবে।
তবে হবু স্ত্রীর মাঝে ইনসাফ বজায় না রাখতে পারলে একটি নিয়ে সন্তষ্ট হবে। মহান আল্লাহ
বলেছেন,
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي
الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ
وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ
أَيْمَانُكُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا
“আর তোমরা
যদি আশংকা কর যে, পিতৃহীনাদের
প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ কর (স্বাধীন)নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশংকা কর যে, সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে (বিবাহ কর) অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত
(ক্রীত অথবা যুদ্ধবন্দিনী) দাসীকে (স্ত্রীরূপে ব্যবহার কর)। এটাই তোমাদের পক্ষপাতিত্ব
না করার অধিকতর নিকটবর্তী।” (নিসাঃ ৩)
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ
قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ
بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ
وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন)
অবস্থায় উঠবে। (সহীহ : তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ ১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৪৯।)
পরন্ত বহু বিবাহ করা শর্তসাপেক্ষে সুন্নত ও আফযল। যেহেতু
আমাদের গুরু মহানবী (সঃ) বহু বিবাহ করেছেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) সাঈদ বিন জুবাইরকে বলেছিলেন, ‘বিবাহ কর। কারণ এই উম্মতের
সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি , যার সবার
বেশি স্ত্রী।’ অথবা ‘এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সবার চেয়ে বেশি স্ত্রী ছিল।
(আহমাদ, বুখারী)
উল্লেখ্য যে, একই সাথে চারটির বেশি স্ত্রী রাখা হারাম।
যেমন উক্ত আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে। সমানঅধিকার দিয়ে রাখার ক্ষমতা না হলে একটাই বিবাহ
করতে হবে। তাতেও সক্ষম না হলে রোযা পালন করে যেতে হবে। (বুখারী ৫০৬৫, মুসলিম ১৪০০ নং)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
১.শর্ত সাপেক্ষে একাধিক বিয়ে করা সুন্নাত। কিন্তু শর্তানুযায়ী
আদায় করতে না পারলে সুন্নাত হবে না।
২. নবুওয়াত প্রাপ্ত হওয়ার পরে তিনি যা কিছু করেছেন বা
বলেছেন তাই উম্মতের জন্য অনুসরণীয়। কিন্তু
নবী হওয়ার পূর্বে তিনি যা কিছু করেছেন তা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত নয়।