আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
329 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন ১ঃ ইসলাম শরীয়াতে পুরুষের চার বিয়েকে বৈধ বলেছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই চার বিয়েকে কি সুন্নত বলা যাবে যেহেতু নবীজী সাঃ চার বিয়ের অধিক করেছেন।

প্রশ্ন ২ঃ আমরা জানি নবীজী সাঃ সব কথা কাজ ই সুন্নত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে নবুওয়াতের আগে তিনি যা যা করেছেন সেগুলোও কি সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত????

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

একাধিক বিয়ে করা সুন্নাত নয় বরং তা প্রয়োজনের স্বার্থে শর্ত স্বাপেক্ষে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কারণ দুনিয়ার সকল মানুষের প্রয়োজন ও সমস্যা এক রকম নয়। তবে ইসলামে এর সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তা হল, ২ অথবা ৩ অথবা ৪। ইসলামের আগে এর কোন সীমা-সংখ্যা ছিল না।

ইসলামে বিবাহের ব্যাপারে মৌলিক বিধান হল, সামর্থ্য থাকলে পুরুষ একাধিক বিবাহ করবে। তবে হবু স্ত্রীর মাঝে ইনসাফ বজায় না রাখতে পারলে একটি নিয়ে সন্তষ্ট হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন,

وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا

আর তোমরা যদি আশংকা কর যে, পিতৃহীনাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ কর (স্বাধীন)নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশংকা কর যে, সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে (বিবাহ কর) অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত (ক্রীত অথবা যুদ্ধবন্দিনী) দাসীকে (স্ত্রীরূপে ব্যবহার কর)। এটাই তোমাদের পক্ষপাতিত্ব না করার অধিকতর নিকটবর্তী।” (নিসাঃ ৩)

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। (সহীহ : তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ ১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৪৯।)

পরন্ত বহু বিবাহ করা শর্তসাপেক্ষে সুন্নত ও আফযল। যেহেতু আমাদের গুরু মহানবী (সঃ) বহু বিবাহ করেছেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) সাঈদ বিন জুবাইরকে বলেছিলেন, ‘বিবাহ কর। কারণ এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি , যার সবার বেশি স্ত্রী।’ অথবা ‘এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সবার চেয়ে বেশি স্ত্রী ছিল। (আহমাদ, বুখারী)

উল্লেখ্য যে, একই সাথে চারটির বেশি স্ত্রী রাখা হারাম। যেমন উক্ত আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে। সমানঅধিকার দিয়ে রাখার ক্ষমতা না হলে একটাই বিবাহ করতে হবে। তাতেও সক্ষম না হলে রোযা পালন করে যেতে হবে। (বুখারী ৫০৬৫, মুসলিম ১৪০০ নং)

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!

১.শর্ত সাপেক্ষে একাধিক বিয়ে করা সুন্নাত। কিন্তু শর্তানুযায়ী আদায় করতে না পারলে সুন্নাত হবে না।

২. নবুওয়াত প্রাপ্ত হওয়ার পরে তিনি যা কিছু করেছেন বা বলেছেন তাই উম্মতের জন্য  অনুসরণীয়। কিন্তু নবী হওয়ার পূর্বে তিনি যা কিছু করেছেন তা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...