ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَقِيلَ تُصُدِّقَ عَلَى بَرِيرَةَ قَالَ " هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ ".
মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ)
... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কিছু গোশত আনা হল এবং বলা হল যে, এটা আসলে বারীরার কাছে সাদকারূপে এসেছিল। তখন তিনি বললেন, এটা তার জন্য সাদকা আর আমাদের জন্য হাদিয়া। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৪০৭
https://www.ifatwa.info/18132 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোরবানিকারী কোরবানির গোশত নিজে
খেতে পারেন, হাদিয়া দিতে পারেন এবং সদকা করতে পারেন। দলিল হচ্ছে
আল্লাহ্র বাণী: “অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুঃস্থ অভাবীকে আহার করাও”। [সূরা
হাজ্জ, আয়াত: ২৮] আল্লাহ্ আরও বলেন: “তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং
আহার করাও এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে এবং এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে না। এভাবে
আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর”।[সূরা
হাজ্জ, আয়াত: ৩৬] সালামা বিন আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ করে রাখ”।[সহিহ বুখারী] হাদিসে ‘খাওয়াও’
কথাটি ধনীদেরকে হাদিয়া দেয়া এবং দরিদ্রদেরকে দান করাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। আয়েশা
(রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, সংরক্ষণ করে রাখ এবং দান কর”।[সহিহ মুসলিম]
কুরবানীর গোশত এমন গরীব
ব্যক্তিদেরকে দেওয়া উত্তম যাদের প্রয়োজন আছে এবং তারা গোশত বিক্রয় করে দিবে না। তবে যদি এমন গরীব ব্যক্তি
হয় যে, তার ঘরে
চাউল, জামা কাপড় নেই। আর তারাও অনেক গোশত পেয়েছে
যা খেয়ে তারা শেষ করতে পারবে না। তখন তাদের জন্য ঐ গোশত বিক্রয় করে প্রয়োজনীয়
জিনিস ক্রয় করা জায়েজ আছে। তবে কুরবানী দাতাদের জন্য কোন ভাবে কুরবানীর কোন অংশ
বিক্রয় করা জায়েজ হবে না।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. যদি এমন গরীব ব্যক্তি
পান যে, তার ঘরে চাউল, জামা কাপড় নেই। আর তারাও অনেক গোশত পেয়েছে যা খেয়ে তারা শেষ করতে পারবে
না। তখন তার থেকে ক্রয় করতে পারেন।
২. না, তখন হারাম গোশত হিসেবে থাকবে না। কারণ, তখন ঐ গরীবের
মালিকানায় চলে গিয়েছে। আর হারাম মালের হুকুম হলো যে, তা তার মূল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। আর
এটা সম্ভব না হলে গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়া।
৩. গরুর মাংস বলাতে কোন সমস্যা নেই।