আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (58 points)
edited by
আচ্ছালামু আ'লাইকুম, কুরবানীর সময় অনেক কুরবানী হয়, আলহামদুলিল্লাহ। অনেকে গরিবদেরও দান করে যেমনটা নিয়ম। অনেক জায়গায় দেখা যায়, অনেক গরীব মানুষেরা তাদের পাওয়া কুরবানীর গোশত গুলো বিক্রি করে দেয়। খুবই কম দামে পাওয়া যায় গোশতের দোকানের তুলনায়।

১. তাদের কাছ থেকে গোশত কিনা জায়েজ হবে কিনা?

২. যেহেতু সমাজে অনেকেই হালাল হারাম মেনে চলে না। তারাও কুরবানী দেয়। গরিবদের দান করে। তো তাদের হারাম টাকার গোশত গুলো হালাল টাকার গোশতের সাথে মিলে গেলো গরিবদের কাছে। এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে গোশত কিনা হলে সেই গোশত হারাম গোশত হিসাবে থাকবে কিনা?

৩. অনেকে বলে গরুর মাংস বলা যাবে না গোশত বলা লাগবে, এই বিষয়টা সম্পর্কে যদি বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছে-

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَقِيلَ تُصُدِّقَ عَلَى بَرِيرَةَ قَالَ " هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ ".

মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কিছু গোশত আনা হল এবং বলা হল যে, এটা আসলে বারীরার কাছে সাদকারূপে এসেছিল। তখন তিনি বললেন, এটা তার জন্য সাদকা আর আমাদের জন্য হাদিয়া। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৪০৭

 

https://www.ifatwa.info/18132 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে

কোরবানিকারী কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারেন, হাদিয়া দিতে পারেন এবং সদকা করতে পারেন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: “অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুঃস্থ অভাবীকে আহার করাও”। [সূরা হাজ্জ, আয়াত: ২৮] আল্লাহ্ আরও বলেন: “তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং আহার করাও এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে এবং এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে না। এভাবে আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর”।[সূরা হাজ্জ, আয়াত: ৩৬] সালামা বিন আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ করে রাখ”।[সহিহ বুখারী] হাদিসে ‘খাওয়াও’ কথাটি ধনীদেরকে হাদিয়া দেয়া এবং দরিদ্রদেরকে দান করাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, সংরক্ষণ করে রাখ এবং দান কর”।[সহিহ মুসলিম]

 

কুরবানীর গোশত এমন গরীব ব্যক্তিদেরকে দেওয়া উত্তম যাদের প্রয়োজন আছে এবং তারা গোশত বিক্রয় করে দিবে না তবে যদি এমন গরীব ব্যক্তি হয় যে, তার ঘরে চাউল, জামা কাপড় নেই আর তারাও অনেক গোশত পেয়েছে যা খেয়ে তারা শেষ করতে পারবে না। তখন তাদের জন্য ঐ গোশত বিক্রয় করে প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করা জায়েজ আছে। তবে কুরবানী দাতাদের জন্য কোন ভাবে কুরবানীর কোন অংশ বিক্রয় করা জায়েজ হবে না।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. যদি এমন গরীব ব্যক্তি পান  যে, তার ঘরে চাউল, জামা কাপড় নেই আর তারাও অনেক গোশত পেয়েছে যা খেয়ে তারা শেষ করতে পারবে না। তখন তার থেকে ক্রয় করতে পারেন।

২. না, তখন হারাম গোশত হিসেবে থাকবে না। কারণ, তখন ঐ গরীবের মালিকানায় চলে গিয়েছে। আর হারাম মালের হুকুম হলো যে, তা তার মূল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। আর এটা সম্ভব না হলে গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়া।

. গরুর মাংস বলাতে কোন সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 170 views
0 votes
1 answer 279 views
...