ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম থেকে বর্ণিত, নবীজীর যুগে এক ব্যক্তির শরীর যখম হয় এবং ফুলে রক্ত-পুঁজ
জমে যায় তখন লোকটি বনী আনমারের চিকিৎসক দুই ভাইকে ডাকলেন। নবীজী তাদের উভয়জনকে
দেখে বললেন, চিকিৎসায় তোমাদের মধ্যে কে বেশি পারদর্শী? তারা দুজনে বললেন, ইয়া
রাসূলাল্লাহ! চিকিৎসাকর্ম কি ভালো? তখন
নবীজী বললেন, যিনি রোগ নাযিল করেছেন তিনি চিকিৎসাও নাযিল করেছেন।
-মুয়াত্তা মালেক, হাদীস ১৭৫৭
,
হযরত সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা.
বলেন, আমি একদা অসুস্থ হই, তখন
নবীজী আমাকে দেখতে আসেন এবং তাঁর হাত আমার বক্ষে রাখেন। আমি তাঁর হাতের শীতলতা
আমার কলিজা পর্যন্ত অনুভব করি। তখন নবীজী আমাকে
বললেন, তুমি হৃদরোগী, তুমি
হারেস ইবনে কালদার কাছে যাও, সে চিকিৎসক।
সে যেন সাতটি আজওয়া খেজুর নেয় এবং তা বিচিসহ চূর্ণ করে, অতপর যেন তোমাকে পান করায়। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৭১
,
হযরত আবুদ দারদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ রোগও নাযিল করেছেন এবং তার নিরাময়কও। আর তিনি
প্রত্যেক রোগের জন্য নিরাময়কও রেখেছেন তাই তোমরা চিকিৎসা কর,
তবে হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা করো না। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৭০
সুতরাং আকীদা বিশুদ্ধ রেখে বৈধ
যেকোনো চিকিৎসা গ্রহন করা যাবে।
এতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহর
অনুসরণ হবে।
,
শরীয়তের বিধান মতে এ্যালকোহল হারাম হওয়া যেহেতু নিশ্চিত নয়,তাই এটার
ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ফকিহ শাইখুল ইসলাম তাক্বী উসমানী
(দাঃবা) লিখেন,
وان
معظم الكحول التي تستعمل اليوم في الادوية والعطور وغيرها لا تتخذ من العنب او
التمر انما تتخذ من الحبوب او القشور او البترول وغيره
ভাবার্থঃএলকোহল যা আজ বিভিন্ন ঔষধ বা আতর/সেন্টে ব্যবহৃত
হয়ে আসছে তার অধিকাংশই আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরী হচ্ছে না। বরং তা বিভিন্ন প্রকার
শস্যদানা,খোসা,এবং খনিজ
পদার্থ ইত্যাদি থেকেই তৈরী করা হচ্ছে। (বিধায় সেগুলো হারাম হবে না যতক্ষণ না মদ
হওয়ার পূর্ণবিশ্বাস হচ্ছে) (তাকমিলাতু ফাতহুল মুসলিম 3/608)
বিস্তারিত জানুনঃ
https://www.ifatwa.info/165
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4447/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিথ্যা বলার দরকার নেই, বরং আপনি যদি বাস্তবেই অসুস্থ হয়ে থাকেন
তাহলে আপনি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা নেই। আরো এতে
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহর অনুসরণ হবে। কারণ, তিনিও
চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। আর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খাওয়া হারাম নয়। কারণ শরীয়তের বিধান মতে এ্যালকোহল হারাম হওয়া যেহেতু নিশ্চিত নয়,তাই এটার
ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে।