বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
মসজিদে জামা'আতের সাথে নামাজ পড়ার ছওয়াব বেশি।
ইসলামে জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার
অনেক অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/13351/
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.
বলেন-
لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا
مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي
بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.
আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা
অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ
وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.
অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা
জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/5491/
মাহরাম মহিলাকে সাথে নিয়ে জামা'আত করা
সংক্রান্ত জানুনঃ
https://ifatwa.info/5154/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. মসজিদ
ভাইরাসের স্থান নয়। বরং ভাইরাস বহন করে মানুষ। তাই যারা অনুধাবন করতে পারবে যে,তাদের শরীরের ভাইরাসের প্রভাব রয়েছে, তাদের জন্য মসজিদে যাওয়া বা জনসমাগম মূলক স্থানে যাওয়া কখনো
জায়েয হবে না। বরং তাদের ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশ যে, তারা ঘরেই নামায আদায় করবে। এটা তার পিতা মাতাকে বুঝাবে।
২. বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও যদি
স্বাস্থ্যবিধি কে অনুসরণ না করা হয় এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও সচেতন ভূমিকা না রাখে,তাহলে এক্ষেত্রে ঘরে নামায পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় রুখসত
রয়েছে। মাতাপিতার আদেশকে ফলো করা যেতে পারে। কেননা ঘরে জামাতে নামায আদায় করে
নিলেই জামাতের হক্ব আদায় হয়ে যাবে।
৩. তবে যেহেতু জুমআর নামাজের জন্য জামাত, খুৎবা শর্ত। তাই সে জুমআর নামাজের জন্য
অবশ্যই মসজিদে যাবে। তাছাড়া এখনো বর্তমানে
মসজিদে জুমআ ও অন্যান্ন নামাজের ব্যাপারে কড়া কড়ি বিধি নিষেধ আসেনি। তাই যথাসম্ভব
চেষ্টা করবে মসজিদে নামাজ পড়ার। তবে সাথে একটা ব্যক্তিগত জায়নামাজ নিয়ে যেতে পারে।