আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
closed by
ওমিক্রণ এর সঙ্ক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় একজন ভাইয়ের মা বাবা তাকে মাসজিদে জেতে মানা করে। এমনকি জুম্মাতেও যেতে দেয় না। তাদের মতে মাসজিদে গিয়ে মাটিতে সিজদা দেয়া বিপজ্জনক তাই মাসজিদে যাওয়া যাবে না। অথচ তাদের ঘরের অন্যান্য সকল কাজই স্বাভাবিক ভাবে চলছে, যেমন- ঘরে কাজের লোক আসা, বাজারে যাওয়া, সকালে হাঁটতে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু মাসজিদে যাওয়ার কথা বললেই তারা রাগারাগি করে।
প্রশ্নঃ এই অবস্থায় তার কী করা উচিৎ? মা-বাবার কথা মত ঘরে নামায পড়বে নাকি মাসজিদে যাবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
selected by
 
Best answer

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

মসজিদে জামা'আতের সাথে নামাজ পড়ার ছওয়াব বেশি। 

ইসলামে জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার অনেক অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/13351/

 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-

لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.

আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫

 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.

অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫

 

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/5491/

 

মাহরাম মহিলাকে সাথে নিয়ে জামা'আত করা সংক্রান্ত জানুনঃ

https://ifatwa.info/5154/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!


১. মসজিদ ভাইরাসের স্থান নয়। বরং ভাইরাস বহন করে মানুষ। তাই যারা অনুধাবন করতে পারবে যে,তাদের শরীরের ভাইরাসের প্রভাব রয়েছে, তাদের জন্য মসজিদে যাওয়া বা জনসমাগম মূলক স্থানে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না। বরং তাদের ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশ যে, তারা ঘরেই নামায আদায় করবে। এটা তার পিতা মাতাকে বুঝাবে।

২. বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও যদি স্বাস্থ্যবিধি কে অনুসরণ না করা হয় এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও সচেতন ভূমিকা না রাখে,তাহলে এক্ষেত্রে ঘরে নামায পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় রুখসত রয়েছে। মাতাপিতার আদেশকে ফলো করা যেতে পারে। কেননা ঘরে জামাতে নামায আদায় করে নিলেই জামাতের হক্ব আদায় হয়ে যাবে।

৩. তবে যেহেতু জুমআর নামাজের জন্য জামাত, খুৎবা শর্ত। তাই সে জুমআর নামাজের জন্য অবশ্যই মসজিদে যাবে।  তাছাড়া এখনো বর্তমানে মসজিদে জুমআ ও অন্যান্ন নামাজের ব্যাপারে কড়া কড়ি বিধি নিষেধ আসেনি। তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করবে মসজিদে নামাজ পড়ার। তবে সাথে একটা ব্যক্তিগত জায়নামাজ নিয়ে যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...