بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/4413/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
ইসলামি
শরীয়াহ মতে মেঝেতে কোন নাপাকি পড়লে তা সরিয়ে মেঝে মুছে ফেলতে হবে। তারপর তা শুকিয়ে
গেলে ও নাপাকির প্রভাব নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গেলে সেই মেঝে নাপাকি থেকে পাক হয়ে যাবে। তারপর খালি পায়ে বা ভেজা পায়ে ঐ জায়গায় চলাচলে কোন
অসুবিধা নেই। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/৪৩১; ইলাউস সুনান ১/৩৯৬; নাসবুর
রায়া ১/২৭৭; ফাতাওয়া
খানিয়া ১/২৫; খুলাসাতুল
ফাতাওয়া ১/৪২)
★পাকা ঘরের মেঝের নাপাক স্থানটুকু শুকনা
বা ভেজা কাপড় দ্বারা মুছে দেয়ার পর যদি বাতাসে বা রোদে শুকিয়ে নাপাকীর চিহ্ন দূর হয়ে
যায়, তাহলে ঐ স্থানটুকু পাক হয়ে
যাবে । তবে নাপাকীর সামান্য চিহ্ন থাকলেও তা পাক হবে না । এজন্যে প্রথমে প্রস্রাবটুকু
মুছে নিয়ে একটি পাক কাপড় ভিজিয়ে উক্ত জায়গাটা প্রাথমিকভাবে ২/৩ বার মুছে নিবে, যাতে শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রস্রাবের দু্র্গন্ধ
বা চিহ্ন না থাকে। [প্রমাণঃ
আবু দাউদ শরীফ, ১ : ৫৫
# ফাতাওয়া হিন্দিয়া, ১ : ৪৪, আহসানুল ফাতাওয়া, ২ : ৯২]
★উল্লেখিত
নিয়মাবলীর কোন এক নিয়মে নাপাক জায়গা পাক হয়ে যাওয়ার পর সেখানে ভিজা পায়ে হাঁটলে পা
নাপাক হবে না । আর যদি উক্ত জায়গাটি উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে পাক না করা হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে খালি পায়ে হাঁটলে নাপাক হয়ে
যাবে । সেক্ষেত্রে নামায পড়তে হলে, পা দ্বিতীয়বার ধুয়ে নিতে হবে ।
قال في الشامي: ولو اريد تطهيرها عاجلا يصب
عليها الماء ثلاث مرات وتجفف في كل مرة بخرقة طاهر- [الشامي 1/311]
[প্রমাণঃ
হালবী কাবীর, ১৫৬ # আদ-দুররুল মুখতার, ১ : ৩১১ # খাইরুল ফাতাওয়া, ২ : ১৫০ # ফাতাওয়া দারুল উলূম, ১ : ৩৩২]
★মাটিতে পেশাব পড়ার পর তা শুকিয়ে গেলে এবং
নাপাকির চিহ্ন তথা রং গন্ধ দূর হয়ে গেলেই উক্ত জমীন পাক হয়ে যায়। এছাড়া নাপাকী দ্বারা
ভেজা জমীন বেশি পরিমাণ মাটি দ্বারা লেপে দিলেও তা পাক হয়ে যাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬২৯; শরহুল মুনয়া পৃ. ১৮৭; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ১/৪৯; ফাতহুল কাদীর ১/১৭৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২২৬)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে বিছানায় বিড়ালের পায়খানার কোন দাগ বা
গন্ধ না পাওয়া গেলে বিছানা অপবিত্র হবে না। তবে মেঝেতে যেই জায়গায় পায়খানা করেছে
বা পায়খানার দাগ আছে সেখানে থেকে ময়লা সরিয়ে নিম্নের পদ্ধতিতে মেঝে পবিত্র করবে,
পাকা মেঝে বা ফ্লোর নাপাক হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা
পাক করার সহজ পদ্ধতি হল, নাপাক জায়গায়
পানি ঢেলে ভালভাবে ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে দিবে এভাবে তিনবার ধুয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে
। আর যদি পানি গড়িয়ে বের করার ব্যবস্থা না থাকে , তাহলে প্রথমে একটি শুকনো বা ভেজা কাপড়
দিয়ে ময়লাটুকু মুছে দিবে । অতঃপর কাপড়টি ভাল করে ধুয়ে নাপাক জায়গাটা আবার মুছে দিবে । এক্ষেত্রে
প্রতি বারই নতুন পানি ব্যবহার করবে । এভাবে তিনবার পাক কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিলে
জায়গাটা পাক হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, নিচতলা এবং উপরতলার হুকুমের মধ্যে কোন
পার্থক্য নেই।