আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।  মুসলিম ডক্টর থাকলে অমুসলিম ডক্টরের কাছে না যাওয়াই উচিত। হোমিওপ্যাথি ডক্টর বেশিরভাগ অমুসলিমই হয়ে থাকেন। চিকিৎসার জন্য মুসলিম ডক্টর অনেক্ষণ খুঁজাখুঁজির পর না পেয়ে অমুসলিম ডক্টর এর কাছেই গেলাম। (আরও কয়েকদিন সময় নিয়ে খুঁজলে বা আরও দূর দূরান্তে গেলে হয়তো মুসলিম ডক্টর পেতাম) ডক্টর অনেক গুলি ঔষধ দিলেন তন্মধ্যে একটা ঔষধ উনি নিজের মাথায় ঠুকে মুখে কিছু জপে আমাকে খেতে বললেন। আমি তা না খেয়ে বাসায় নিয়ে আসি।

১/অমুসলিম ডক্টর এর কাছে যাওয়াটা কি এক্ষেত্রে গুনাহের কারণ হব্র?

২/ যে ঔষধ উনি মাথায় ঠুকে মুখে কিছু জপে আমাকে খেতে বললেন সেটা কি খাওয়া জায়েজ হবে??  ঔষধ টায় উনি কোন কিছু পড়ে ফু দেন নি, জাস্ট মাথায় ঠুকেছেন এবং মুখে কিছু জপেছেন হয়তো যতটুকু বুঝতে পারলাম ডক্টর এর এক্সপ্রেশনে।
৩/আর বাকি যে ঔষধ গুলি দিয়েছেন ওগুলো তে কোন কিছু জপেন নি। তবে ডক্টর হয়তো গোরা হিন্দু।। উনার ঔষধ গুলি কি খাওয়া ঠিক হবে

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম থেকে বর্ণিত, নবীজীর যুগে এক ব্যক্তির শরীর যখম হয় এবং ফুলে রক্ত-পুঁজ জমে যায় তখন লোকটি বনী আনমারের চিকিৎসক দুই ভাইকে ডাকলেন। নবীজী তাদের উভয়জনকে দেখে বললেন, চিকিৎসায় তোমাদের মধ্যে কে বেশি পারদর্শী? তারা দুজনে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! চিকিৎসাকর্ম কি ভালো? তখন নবীজী বললেন, যিনি রোগ নাযিল করেছেন তিনি চিকিৎসাও নাযিল করেছেন। -মুয়াত্তা মালেক, হাদীস ১৭৫৭
,
হযরত সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. বলেন, আমি একদা অসুস্থ হই, তখন নবীজী আমাকে দেখতে আসেন এবং তাঁর হাত আমার বক্ষে রাখেন। আমি তাঁর হাতের শীতলতা আমার কলিজা পর্যন্ত অনুভব করি। তখন নবীজী  আমাকে বললেন, তুমি হৃদরোগী, তুমি হারেস ইবনে কালদার কাছে যাও, সে চিকিৎসক। সে যেন সাতটি আজওয়া খেজুর নেয় এবং তা বিচিসহ চূর্ণ করে, অতপর যেন তোমাকে পান করায়। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৭১
,
হযরত আবুদ দারদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ রোগও নাযিল করেছেন এবং তার নিরাময়কও। আর তিনি প্রত্যেক রোগের জন্য নিরাময়কও রেখেছেন তাই তোমরা চিকিৎসা কর,  তবে হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা করো না। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৭০

সুতরাং আকীদা বিশুদ্ধ রেখে বৈধ যেকোনো চিকিৎসা গ্রহন করা যাবে।
এতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহর অনুসরণ হবে।
,
আরো জানুনঃ         

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
চিকিৎসার জন্য অমুসলিম ডাক্তারের কাছে যাওয়া নিষেধ নয়। তবে মুসলিম ডাক্তারের কাছে যাওয়া উত্তম। 
,

‘ইসলামী ফিকাহ একাডেমি’ থেকে একটি সিদ্ধান্তে এ বিষয়ে বলা হয়েছে,  তাতে রয়েছে-

الأصل أنه إذا توافرت طبيبة متخصصة يجب أن تقوم بالكشف على المريضة ، وإذا لم يتوافر ذلك فتقوم بذلك طبيبة غير مسلمة ثقة ، فإن لم يتوافر ذلك يقوم به طبيب مسلم ، وإن لم يتوافر طبيب مسلم يمكن أن يقوم مقامه طبيب غير مسلم ، على أن يطّلع من جسم المرأة على قدر الحاجة في تشخيص المرض ومداواته وألا يزيد عن ذلك وأن يغض الطرف قدر استطاعته ، وأن تتم معالجة الطبيب للمرأة هذه بحضور محرم أو زوج أو امرأة ثقة خشية الخلوة

শরিয়তের মূল বিধান হচ্ছে- বিশেষজ্ঞ মহিলা ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন। যদি মুসলিম মহিলা ডাক্তার না পাওয়া যায় তাহলে বিশ্বস্ত অমুসলিম মহিলা ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন। যদি অমুসলিম মহিলা ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে মুসলিম পুরুষ ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন। যদি মুসলিম ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে অমুসলিম পুরুষ ডাক্তার সে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে শর্ত হল, পুরুষ ডাক্তার রোগিনীর শরীরের ততটুকু দেখবেন যতটুকু দেখা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার স্বার্থে প্রয়োজন; এর বেশি দেখবে না এবং সাধ্যমত দৃষ্টি অবনত রাখবে। পুরুষ ডাক্তারকে রোগিনীর চিকিৎসা করতে হবে রোগিনীর মাহরাম কিংবা স্বামী কিংবা কোন বিশ্বস্ত নারীর উপস্থিতিতে; যাতে করে নিষিদ্ধ নির্জনবাস না ঘটে। (একাডেমীর জার্নাল থেকে সংকলিত ৮/১/৪৯)

(০১)
না,এতে গুনাহের কারণ হবেনা।
,
(০২)
যেহেতু তিনি ফুক দেননি,তাই আকীদা বিশুদ্ধ রেখে সেটি খাওয়া জায়েজ হবে।
,
(০৩)
হ্যাঁ খাওয়া যাবে, কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...