চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।
কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।
(২৮/৩২৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাফ ভাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত।তাই ছাত্ররা হাফ ভাড়া দিবে।হ্যা কোনো ছাত্র সেচ্ছায় ফুল ভাড়া দিতে চাইলে,তা দিতেও পারবে।
তবে ছাত্রদের হাফ ভাড়ার ক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
যে পরিবহনে উঠা হয়, যদি সেই পরিবহনের মালিক স্বেচ্ছায় শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া গ্রহণ করে থাকে, তাহলে হাফ ভাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত জায়েজ আছে।
নতুবা চাপ সৃষ্টি করে সেই পরিবহন মালিকের সন্তুষ্টির খেলাফ হাফ ভাড়া দেওয়া ঠিক হবেনা।
,
এক্ষেত্রে কেহ যদি ছাত্র না হয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দেয়,তাহলে তার জন্য এটি কোনোভাবেই জায়েজ হবে না। এখনো ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দিলে সেটি ধোঁকাবাজীর অন্তর্ভূক্ত হবে। যা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
,
হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا، وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের উপর তরবারী উত্তলোন করে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, এবং যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২২৪}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ছাত্র/ছাত্রী হয়ে থাকলে হাফ ভাড়া সংক্রান্ত সরকারের আইনের আওতায় থেকে হাফ ভাড়া দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে তারা যদি হাফ ভাড়া গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায়,তাহলে ফুল ভাড়া দিবেন।
,
তবে ফুল ভাড়া থেকেও অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে তাহা দিবেননা।
এই অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহন তাদের জন্য জায়েজ হবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ [٢:١٨٨
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। [সূরা বাকারা-১৮৮]
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسِهِ»
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানের সম্পদকে তার সন্তুষ্টি ছাড়া গ্রহণ করা হালাল নয়। [সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৮৫]