আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
edited by

. আমার এক পায়জামা তে পিছনের পাশের কাপড়ে সুপার গ্লু লেগেছিলো প্রায় ১ বছর হয়ে আসছে,পরিমাণ খুব অল্প তবে এমনভাবে লেগেছে প্রায় সাথেই সাথেই একেবারে শুকিয়ে গেছে,অনেক চেষ্টা করেও তখনি তা দুর করতে পারিনি,জোর করে তুলতে গেলে কাপড়ের সে জায়গা একেবারে ছিড়ে যাবে তবুও গ্লু উঠবে না,এখন এমন কাপড় পবিত্র করার নিয়ম কি?

• গ্লু এর কথা ভুলে গিয়ে আমি সাধারণ নিয়মে কখনো পবিত্র করা লাগলে করে পরিধান করেছি ,কিন্তু আজ হঠাৎ গ্লু এর কথা মনে পরলো,তাই সন্দেহ হচ্ছে কাপড় পবিত্র হবে কি,আঠার কারণে অইটুকু অংশে(১ দিরহামের কম জায়গা) তো পানি দ্বারা ভিজবে না।

[বি.দ্র] কাপড়ের বাইরের দিকে থেকে আঠা ভরেছে,পরে কাপড় আঠায় সিক্ত হয়ে তা ভিতরের দিকেও কিছুটা শক্ত হয়ে গিয়েছে

. আমি পড়ালেখার খাতিরে আমার নানার নিজস্ব বাসায় থাকি ছোটবেলা থেকেই এবং নানার বাড়ি ভাড়ার টাকা,মামার কামাই মিলিয়ে পুরো পরিবারের ভরণপোষণ হয়। এর আলোকে প্রশ্নঃ

সুদ এবং হালাল টাকার মিশ্রণে বাড়ি তৈরি করা হলে সে বাড়িতে আমার থাকা এবং ইবাদত কবুলে সমস্যা হবে?(আমার বাবা আর্থিক ভাবে শহরে থাকতে সক্ষম নন তাই নানার বাসায় থেকে পড়ালেখা করছি)

#কখনো যদি সুদ আদায়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি বিক্রয় করা হলে (বাড়ি আরো ২০-২৫ বছর আগে তৈরি করা),বাড়ি তৈরির সময়ের মুল্যের চেয়েও যে অধিক টাকা আসবে বর্তমান সময়ের টাকার মুল্যের হিসাবে,সে অতিরিক্ত টাকা ব্যবহার জায়েয আছে?

মামার ইনকামে যদি হালালের পাশাপাশি সুদ এর অংশ থাকে  আমার ইবাদত কবুলে সমস্যা হবে?অনেক বছর ধরে আমি তাদের সাথে থাকি,এত বছরের ভরণপোষনের(পড়ার আংশিক খরচ,খাবার,পোশাকের আংশিক খরচ) টাকা আমার পক্ষে সদকাহ করা তো অসম্ভব এক প্রকার,আমার করণীয় কি হতে পারে?

৩. হারাম টাকায় কেনা কোন পোশাক যদি কোন মানুষকে দান করে দেই,সাওয়াবের নিয়তে হোক বা না হোক,কিংবা এমনেই যদি নরমাল ভাবে বাসার কাজের বুয়া,দারোয়ান তাদের যদি দেই (কিছু বছর ব্যবহারের পর পুরনো হিসেবে),সে কাপড় ব্যবহারের ফলে তাদের ইবাদত এ কোন সমস্যা হবে? তাদের ইবাদত কবুল হবে?নাকি এভাবে দেওয়া নাজায়েয?

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

ফাতাওয়ার কিতাবে উল্লেখ রয়েছে,    

لمافی البحر الرائق(۴۱۰/۱): والمراد بالأثر اللون والریح فان شق إزالتھما سقطت وتفسیر المشقۃ أن یحتاج فی إزالتہ إلی استعمال غیر الماء کالصابون والأشنان أو الماء المغلی بالنار کذا فی السراج۔
সারমর্মঃ
চিন্হ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো রং,ঘ্রাণ। 
যদি সেটি দূর করা অনেক কষ্টকর হয়,তাহলে রহিত হয়ে যাবে।
কষ্টকর হয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা হলো,তাহা দূর করতে পানি ব্যাতিত অন্য কিছুর প্রয়োজন হয়,যেমন সাবান,আগুনে দেওয়া ফুটানো পানিতে দেওয়া ইত্যাদি।       
বিস্তারিত জানুনঃ   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড় তিন বার ধোয়া আর প্রত্যেকবার নিংড়ানোর দ্বারা পাক হয়ে যাবে।
উক্ত সুপার গ্লু থাকাতে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
★সেই বাড়িতে আপনি থাকলেও আপনার দোয়া ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 

★হ্যাঁ সেই অতিরিক্ত টাকা ব্যবহার জায়েজ হবে।
শুধুমাত্র হারাম টাকার সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মানুষের দান করে দিতে হবে।

★এক্ষেত্রে হালাল টাকাই বেশি থাকলে আপনার ইবাদতে সমস্যা হবেনা 
কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 
আপনি স্বাবলম্বি হওয়ার পর আনুমানিক একটি হিসেব করে টাকা সদকাহ করবেন।
            
(০৩)
যদি তারা গরীব মিসকিন হয়,তথা যাকাত ফরজ হওয়ার মতো সম্পদের যদি তারা মালিক না হোন,তাহলে তাদের দেওয়া যাবে।
সেই কাপড় ব্যাবহারের ফলে তাদের দোয়া ইবাদত কবুল হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
২ নং প্রশ্নে বলেছি যে আমি একেবারে ছোটবেলা থেকেই নানার বাসায় বড় হয়েছি,১০ বছরের ও অধিক সময় ধরে আমার সকল ভরণপোষণ দিচ্ছেন,নিজের কামাই শুরুর পর ও এত পরিমাণ টাকার হিসেব করে সদকাহ করা কিভাবে সম্ভব  হবে সেটা ভেবে কুল পাচ্ছিনা,আরো কোন সমাধান থাকলে জানাবেন দয়া করে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 178 views
...