আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
150 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি একটি নন মুসলিম দেশে বসবাস করি। এইখানে অনেক খাবার এর প্যাকেট এ খাবার উপাদান (কি কি জিনিস দিয়ে বানানো হয়েছে) দেওয়া থাকে না। আবার, অনেক খাবার এর প্যাকেট এ উপাদান দেওয়া থাকে না। আমার প্রশ্ন হলো
১) যে সমস্ত খাবারে উপাদান দেওয়া থাকে না, সে সমস্ত খাবার কি আন্দাজের উপর খাওয়া যাবে (যদি মন বলে যে এইখানে হারাম উপাদান থাকার সম্ভাবনা কম বা অনেক কম) ?
২) যে সমস্ত খাবারে উপাদান দেওয়া থাকে, সে গুলোর ক্ষেত্রেে আমি অনলাইনে সার্চ করি। কিছু কিছু উপদান এর ক্ষেত্র্রে লিখা থাকে ( এই উপাদান যদি হালাল উপায়ে নিয়ে থাকে তা হলে হালাল, আর না হলে হারাম)। এখন এইটা তো লিখা থাাকে না যে কোন উপাায়ে নেওয়া হয়েছ (হাালাল নাকি হারাম)। এক্ষেত্রে মাসালা কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো বিধর্মীদের রান্না করা খাবার যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েয আছে, যদি সে খাদ্যটি হারাম না হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে।


তাদের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। (সূরা বাক্বারাহ ১৭৩)

হালাল পশু-পাখি খাওয়া ‘হালাল’ হবার জন্য  শর্ত হল, সেটিকে আল্লাহর নামেই জবাই করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন–

وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ

যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। (সুরা আনআম-১২১)

فى الفتوى الهندية-ولا بأس بطعام المجوس كله الا الذبيحة الخ (الفتوى الهندية-5/347، كتاب الكراهية، الباب الرابع عشر فى اهل الذمة، البحر الرائع، كتاب الكراهية، فصل الأكل والشرب-8/184، المحيط البرهانى-8/69

যার সারমর্ম হলো মূর্তিপুজকদের খাবার খাওয়া জায়েজ আছে,তবে তাদের জবাইকৃত পশু ব্যাতিত।     

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের যেসমস্ত খাবারে কোনো গোশত না থাকে এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে,তাহলে সেটি খাওয়া যাবে।
,
যেসমস্ত খাবারের গায়ে উপাদান লেখা থাকেনা,আপনি নিজে সেই খাবার দেখে চিন্তা করবেন,যে তাতে গোশত বা হারাম কিছু মিশানো হতে পারে কিনা?
এই বিষয়ে কোনো নেগেটিভ কিছু মনে না হলে এবং কোনো ভাবে নেগেটিভ কিছু সেই খাবারের ব্যাপারে আপনি না জানলে তাহা খেতে পারেন। 
,
তবে সন্দেহ হলে তাহা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

(০২)
গোশত জাতীয় কোনো উপাদান হলে সেটি খাবেননা।
নতুবা হারামের মিশ্রণ এর কোনো সংবাদ,তথ্য,দলিল না হলে তাহা খেতে পারেন।

তবে সন্দেহ হলে তাহা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...