ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো বিধর্মীদের রান্না করা খাবার যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েয আছে, যদি সে খাদ্যটি হারাম না হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে।
তাদের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। (সূরা বাক্বারাহ ১৭৩)
হালাল পশু-পাখি খাওয়া ‘হালাল’ হবার জন্য শর্ত হল, সেটিকে আল্লাহর নামেই জবাই করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন–
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। (সুরা আনআম-১২১)
فى الفتوى الهندية-ولا بأس بطعام المجوس كله الا الذبيحة الخ (الفتوى الهندية-5/347، كتاب الكراهية، الباب الرابع عشر فى اهل الذمة، البحر الرائع، كتاب الكراهية، فصل الأكل والشرب-8/184، المحيط البرهانى-8/69
যার সারমর্ম হলো মূর্তিপুজকদের খাবার খাওয়া জায়েজ আছে,তবে তাদের জবাইকৃত পশু ব্যাতিত।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের যেসমস্ত খাবারে কোনো গোশত না থাকে এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে,তাহলে সেটি খাওয়া যাবে।
,
যেসমস্ত খাবারের গায়ে উপাদান লেখা থাকেনা,আপনি নিজে সেই খাবার দেখে চিন্তা করবেন,যে তাতে গোশত বা হারাম কিছু মিশানো হতে পারে কিনা?
এই বিষয়ে কোনো নেগেটিভ কিছু মনে না হলে এবং কোনো ভাবে নেগেটিভ কিছু সেই খাবারের ব্যাপারে আপনি না জানলে তাহা খেতে পারেন।
,
তবে সন্দেহ হলে তাহা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
(০২)
গোশত জাতীয় কোনো উপাদান হলে সেটি খাবেননা।
নতুবা হারামের মিশ্রণ এর কোনো সংবাদ,তথ্য,দলিল না হলে তাহা খেতে পারেন।
তবে সন্দেহ হলে তাহা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।