উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক যখন কঠিন প্রয়োজন হবে, তখন কোনো মুসলিম অমুসলিমের রক্ত নিজের দেহে গ্রহন করতে পারবে।
এটি জায়েজ আছে,তবে উত্তম নয়।
কারন কাফের এবং ফাসেক ফাজের এর রক্তে যে মন্দ আছর রয়েছে,সেটা মুসলিমের শরীরে যাওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে।
এই জন্য নেককার উম্মতেরা ফাসেকাহ মহিলার দুধ পান করানো পছন্দ করতেননা।
এই জন্য যথাসম্ভব কাফের ফাসেক ব্যাক্তিদের রক্ত মুসলিমের শরীরের নেওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
(ফাতাওয়ায়ে বাইয়্যিনাত ৪/২৭৭)
۔
উল্লেখ্য যে কোনো মানুষের অঙ্গ অন্য মানুষের দেহে স্থাপন করা জায়েজ নেই।
এগুলো কোনো কিছুরই মালিক মানুষ নয়,বরং এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত।
সুতরাং অন্যের দেহে কোনো অঙ্গ বা কোনো অঙ্গের অংশ স্থাপন করা জায়েজ নেই।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/ ১৯৬.ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ১৮/৩৩৮)
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
الاٰدمي مکرمٌ شرعًا وإن کان کافرًا، فإیراد العقد علیہ وإبتذالہ بہ، وإلحاقہ بالجمادات إذلالٌ لہ أي وہو غیر جائز، … وصرح في فتح القدیر ببطلانہ۔ (رد المحتار، کتاب البیوع / باب البیع الفاسد، مطلب: الآدمي مکرم شرعًا ولو کافرًا ۵؍۵۸ دار الفکر بیروت، ۷؍۲۴۵ زکریا، فتح القدیر، کتاب البیوع / باب البیع الفاسد ۶؍۳۹۰ زکریا، ۶؍۴۲۵ مصطفیٰ البابي الحلبي مصر، البحر الرائق ۶؍۸۱، الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الکراہیۃ / الباب الثامن عشر في التداوي والمعالجات ۵؍۳۵۴ زکریا)
এর সারমর্ম হলো
মানব দেহ সম্মানীত বস্তু,যদিও সে কাফের হোক।
সুতরাং এটার ক্রয় বিক্রয় বা অন্যের দেহে স্থাপন জায়েয নেই।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
الانتفاع بأجزاء الآدمي لم یجز۔ (الفتاوی الہندیۃ، کتاب الکراہیۃ / الباب الثامن عشر في التداوي والمعالجات ۵؍۳۵۴)
অনুবাদঃ মানুষের শরীরের কোনো অংশ দ্বারা উপকৃত হওয়া জায়েয নেই।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো কাফেরের দেহের কোনো অঙ্গ কোনো মুসলিমের দেহে স্থাপন করা জায়েজ নেই।