আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
325 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
শায়েখ , আমার জানামতে ব্লেড ব্যবহার করলে চুল বা লোম অধিক গজায় এবং ধ্রুত গজায়। যার কারনে বগল এবং নাভীর নিচের লোম উভয়টাই আঠা দিয়ে তুলে ফেলার অভ্যাস হয়েছে। ফলে পুনরায় গজাতে সময় লাগে । প্রায় ৩০ দিন পর পর তুলে ফেলার অভ্যাস হয়ে গেছে । অভ্যাসটা কি পরিবর্তন করা প্রয়োজন ? রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক্ষেত্রে পূর্নাঙ্গ সুন্নাহ কি? সেই ভাবে আমল করতে চাই ইনশা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (57,570 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

 হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ قَصُّ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ وَالسِّوَاكُ وَالاِسْتِنْشَاقُ بِالْمَاءِ وَقَصُّ الأَظْفَارِ وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ وَنَتْفُ الإِبِطِ وَحَلْقُ الْعَانَةِ وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ " . يَعْنِي الاِسْتِنْجَاءَ بِالْمَاءِ .

ইয়াহ্ইয়া ইবনু মুঈন -------- আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসুলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ দশটি কাজ স্বভাবজাত; ১। গোঁফ ছোট করা, ২। দাড়ি লম্বা করা, ৩। মেস্ওয়াক করা! ৪। নাকের ছিদ্রে পানি প্রবেশ করান, ৫। নখ কাটা, ৬। উযূ (ওজু/অজু/অযু)-গোসলের সময় আংগুলের গিরা ও জোড়সমূহ ধৌত করা, ৭। বগলের পশম পরিষ্কার করা, ৮। নাভির নীচের লোম পরিস্কার করা, ৯। পানির দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা। (আবু দাউদ ৫৩)

মুল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

(والاستحداد) : أي حلق العانة، وهو استفعال من الحديد، وهو استعمال الحديد من نحو الموسى في حلق العانة ذي الشعر الذي حوالي ذكر الرجل وفرج المرأة. زاد ابن شريح: وحلقة الدبر، فجعل العانة منبت الشعر مطلقا، والمشهور الأول، فإن أزال شعره بغير الحديد لا يكون على وجه السنة. كذا في شرح المشارق، ويجب أن يعلم أنه لا يقطع شيئا من شعر وهو جنب.

ইস্তেহদাদ অর্থ হলো,নাভীর নীচ কে খুর ইত্যাদি দ্বারা পরিস্কার করা। পুরুষাঙ্গ ও যোনিপথের আশপাশের সবকিছুকে খুর দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।ইবনে শুরাইহ বলেন, মলমূত্রত্যাগের স্থানকেও খুর দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।উনি নাভীর নীচের সকল চুলকে তাতে শামিল রাখেন তা যেখানেই হোকনা কেন।তবে প্রথম মতটাই অধিক প্রসিদ্ধ।যদি কেউ খুর ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা নাভীর চুলকে পরিস্কার করে,তাহলে সেটা সুন্নত অনুযায়ী হবে না। (শরহে মাশারিক্ব) সবার জানা থাকা উচিৎ যে,জুনুবী অবস্থায় নাভীর চুলকে কাটা যাবে ন

المفهوم من حديث أبي هريرة: أن حلق الإبط ليس بسنة، بل السنة نتفه لأن شعره يغلظ بالحلق، ويكون أعون للرائحة الكريهة. قال النووي: النتف أفضل لمن قوي عليه، لما حكي أن الشافعي كان يحلق إبطه فقال: علمت أن السنة نتفه، لكن لا أقوى على الوجع.

আবু হুরায়রা রাযি এর হাদীস থেকে বুঝা যায় যে,বগলের চুলকে মুন্ডানো সুন্নত নয়।বরং সুন্নত হলো,উপড়িয়ে ফেলা।কেননা মুন্ডানোর দ্বারা বগলের চুল আরো গাঢ়তম আকার ধারণ করবে, অতঃপর সেটা দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ বনে যাবে।ইমাম নববী রাহ বলেন,উপড়িয়ে ফেলার কষ্টকে যার সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে সে যেন উপড়িয়ে ফেলে।আর যার সহ্য করার ক্ষমতা নেই, সে যেন মুন্ডিয়ে ফেলে।যেমন ইমাম শাফেয়ী রাহ বগলের চুলকে উপড়িয়ে ফেলতেন।উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলতেন,আমি জানি উপড়িয়ে ফেলা সুন্নত।তবে উপড়িয়ে ফেলার কষ্টকে আমি সহ্য করতে পারি না।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

বগলের চুলকে উপড়িয়ে ফেলাই সুন্নত। তবে মুন্ডানোও জায়েয। আর নাভীর নীচের চুলকে মুন্ডিয়ে ফেলা সুন্নত।তবে ঔষধ ব্যবহার করে পরিস্কার করা বা কেচি দ্বারা গোড়ায় কেটে ফেলারও অনুমোদন রয়েছে।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 144 views
...